প্রায় চার মাস ধরে আসানসোলের জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতার জামিনের বাধা হচ্ছে ‘প্রভাবশালী’ তকমা। —ফাইল ছবি।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-এর করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট।
শুক্রবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে জানায় আপাতত তদন্তের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অনুব্রতের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে বলেন, নিম্ন আদালত ইডিকে অনুমতি দিয়েছে জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুব্রতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ বেআইনি বলে দাবি করা হয়। আইনজীবীর দাবি, প্রথমে অনুব্রতকে গরুপাচার মামলার সাক্ষী দেখানো হলেও পরে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। নিম্ন আদালতের আর্জি শোনা হয়নি। এখন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি।
অন্য দিকে, সিবিআইয়ের তরফে যুক্তি, অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে রিমান্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। যদি বেআইনি ভাবেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়, তবে নিম্ন আদালত কেন তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাবে? এর বিরোধিতায় অনুব্রতের আইনজীবী বলেন, ‘‘এই তথ্য মিথ্যে। আদালতকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যদি টাকা তছরুপের অভিযোগ থাকে তবে তার তদন্তের জন্য আয়কর দফতরে যান। কিন্তু গ্রেফতার অবস্থায় সমন কী ভাবে দেওয়া যায়?’’ যদিও দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অনুব্রতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪ মাস জেলে রয়েছেন অনুব্রত। একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি। তা ছাড়া আগে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। এখন তৃণমূল নেতার জামিন মামলায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘প্রভাবশালী তকমা’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy