মেখলিগঞ্জে নিহত রমজান মিয়াঁ। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামছেই না।
রবিবার দুপুরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহে নিহত হন রমজান মিয়াঁ (৫০)। সেই সংঘর্ষে জখম ১৯ জন। আর শনিবার রাতে মহিষকুচিতে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতাকে রাস্তায় আটকে, গায়ে পেট্রল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কোনও ঘটনাতেই রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিপিএম দাবি করেছে, রমজান তাদের সক্রিয় কর্মী। এ দিন দুপুরে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী সিপিএমের প্রার্থী আতাবুল ইসলামও। সিপিএমের অভিযোগ, যে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে, তারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করছিল। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের অর্ঘ্য রায়প্রধানের অবশ্য ধারণা, পারিবারিক গোলমাল থেকেই গন্ডগোল। কিন্তু সিপিএমের স্থানীয় এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিপিন শীলের দাবি, গোলমাল পেকেছে স্থানীয় একটি রাস্তার কাজ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘আতাবুল শ্রমিকদের তালিকা দিয়েছিলেন। তৃণমূল তার পর কাজ বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে আজ বৈঠক হচ্ছিল। তখনই তৃণমূলের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের বাহিনীই আমাদের কর্মীকে খুন করেছে।’’ অর্ঘ্যবাবুর যদিও বক্তব্য, ‘‘অকারণে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: দুই মৃত্যুরই রিপোর্ট চায় দিল্লি, চুপ রাজ্য কমিশন
তুফানগঞ্জের মহিষকুচিতে শনিবার সন্ধেয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহিরুদ্দিন মিয়াঁ ওরফে মেহের আলিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে। তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অ্যাসিডও ছোড়া হয়েছে। তিনি কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অভিযোগ, “মহিরুদ্দিনকে খুনের চেষ্টা হচ্ছিল। লাগোয়া রাজ্য থেকে লোক এনে বিজেপি গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে।’’ বিজেপির জেলার সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে-র পাল্টা দাবি, ‘‘আমরা এই ঘটনায় জড়িত নই। স্থানীয় এক মহিলার টাকা সংক্রান্ত সালিশি নিয়ে গোলমাল হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy