কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। বুধবার এই বিষয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আইএসএফ-এর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময় তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় অনেকে আহত। মনোনয়নে এখনও বাধা দেওয়া হচ্ছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে গিয়েছে সিপিএমও। তাদের অভিযোগ, মিনাখাঁয় মনোনয়ন পেশ করতে গেলে দলীয় কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়। তিন জন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। হামলা চালানো হয় তাদের কর্মীদের উপর। এ ক্ষেত্রেও মামলা দায়ের এবং দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ দু’টি মামলারই শুনানি হওয়ার কথা।
আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। মঙ্গলবার সকালে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে মেলার মাঠে সংঘর্ষ বেধে যায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে। সংঘর্ষে মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। তার জেরে প্রাথমিক ভাবে পিছু হটে পুলিশ। কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিছুটা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই অভিযোগ তুলেছে একে অপরের বিরুদ্ধে।
আইএসএফের অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। যার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মুহুর্মুহু বোমা পড়তে দেখা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সাত রাউন্ড গুলিও চলেছে। হামলা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল এবং আইএসএফ। দু’পক্ষের কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে দুই দলেরই দাবি। ওই কাণ্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা কয়েক জন আইএসএফ কর্মীকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ আইএসএফের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy