প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ফাইল চিত্র
সাগরদিঘির উপনির্বাচনের প্রচারে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। উপনির্বাচনের ফলাফলও তাঁদের অনুকূলে গিয়েছিল। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একমঞ্চে আসতে চলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে এবং দুর্নীতি ও বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদে কাল, বৃহস্পতিবার সিউড়িতে যৌথ ভাবে সমাবেশের আয়োজন করছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সেখানেই বক্তা হিসেবে থাকার কথা সেলিম ও অধীরের। প্রসঙ্গত, সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলের মাঠে বাম-কংগ্রেসের সভা হবে। যেখানে গত মাসে সভা করে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে জোট হতে পারে, এই অবস্থান আগেই জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। তবে পঞ্চায়েত ভোটের দস্তুর মেনে আসন সমঝোতার বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া আছে স্থানীয় নেতৃত্বের উপরেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূম জেলায় একের পর এক থানা অভিযান বা ব্লক স্তরের কর্মসূচিতে দু’দলকে ইদানিং একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এ বার সেই জেলার সদরে যৌথ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন সিপিএম ও কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেলিমের কথায়, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোট চাই, দুর্নীতির-চক্রের মাথা চিহ্নিত করে শাস্তি চাই। এই দাবি আমরা তুলছি। বীরভূমে শাহ গিয়েছিলেন, বিভাজনের রাজনীতিতে মদত দিয়েছিলেন। তাই বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতার প্রতিবাদও আমরা করব।’’ শান্তিতে ভোটের প্রশ্নে মঙ্গলবারই বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বলেছেন, ‘‘গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা হয়েছিল, মনে আছে তো বটেই। গত পুরসভা ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উনি নাকি নিরাপদে ভোট করাবেন! এঁদের কথা শুনে কোনও লাভ আছে? মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy