Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের ‘জনগর্জনের’ দিনেই সন্দেশখালিতে সভা করবে সিপিএম! অনুমতি মেলেনি, অনড় আলিমুদ্দিন

সন্দেশখালি দ্বীপে আগামী ১০ মার্চ সভা করতে চায় সিপিএম। সেই অনুযায়ী পুলিশের অনুমতি চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পুলিশের অনুমতি মেলেনি। ওই দিনই ব্রিগেডে তৃণমূলের সভা আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৫১
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন সন্দেশখালিতে সভা করতে চায় সিপিএম।

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন সন্দেশখালিতে সভা করতে চায় সিপিএম। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন সভা’। আর সন্দেশখালিতে সভার জন্য সেই দিনটিকেই বেছে নিল সিপিএম। রাজ্যের শাসকদল যে দিন ব্রিগেডে সভা করবে, সে দিন সন্দেশখালিতে সভা করতে চায় সিপিএম। এ বিষয়ে আলিমুদ্দিন এখনও পর্যন্ত অনড়। যদিও সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশের অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি।

সিপিএম সূত্রে খবর, সন্দেশখালি দ্বীপে আগামী ১০ মার্চ সভা করবে তারা। সেই অনুযায়ী পুলিশের অনুমতি চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলের পর পুলিশকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। মৌখিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, সব স্বাভাবিক হোক, তার পর এ বিষয়ে ভাবা যাবে।

এর মাঝে সোমবার থেকে আগামী কয়েক দিন সন্দেশখালিতে নানা কর্মসূচি রয়েছে সিপিএম-সহ বাম শরিক দলগুলির। সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছে বাম শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার সেখানে যাওয়ার কথা বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা-সহ বুদ্ধিজীবীদের। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাবে সিপিএমের প্রতিনিধি দল। তাতে ফ্রন্ট শরিকদের নেতারাও যুক্ত হতে পারেন। ওই অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

এর আগে শনিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শাড়ি পরে, মাথায় হিজাব টেনে ‘ছদ্মবেশে’ তিনি সন্দেশখালিতে ঢুকেছিলেন। অনেকের মতে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই মিনাক্ষীর এই অভিনব সাজ ছিল। যদিও পুলিশ পরে তাঁকে আটকায়। মিনাক্ষী সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার ধৃত নেতা নিরাপদ সর্দারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তার পর গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। গ্রামে ঘোরার সময়েই মিনাক্ষীকে আটকায় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁকে গ্রামে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। পরে বসিরহাটের এসপি অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন মিনাক্ষীরা। আগামী ২ মার্চ আবার মিনাক্ষীদের কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন ডিওয়াইএফআই বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে।

সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাশ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘১০ মার্চ সন্দেশখালি ২ ব্লকের সন্দেশখালি দ্বীপে আমরা সমাবেশ করতে চেয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশ আর তৃণমূল ভাবছে, ঘিরে রেখে সবটা নিয়ন্ত্রণ করে নেবে। কিন্তু তা হবে না।’’

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বিরোধী পরিসরে ধারাবাহিক ভাবে দাগ কাটছে বিজেপি। সিপিএমকে সেখানে খুব একটা ‘উজ্জ্বল’ দেখাচ্ছে না। দলের অন্দরেও তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই কারণেই চলতি সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে সন্দেশখালিতে কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাম দলগুলি।

sandeshkhali Sandeshkhali Incident CPM TMC Brigade
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy