হাওড়ার বৃদ্ধকে মারধরের অভিযুক্ত সুরজিৎ দে (ডান দিকে, মাঝখানে)। —নিজস্ব চিত্র।
মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় এক বৃদ্ধকে দলবল নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল হাওড়ার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে গুরুতর জখম ওই বৃদ্ধ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে হাওড়া ময়দান এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুরজিৎ দে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া থানা এলাকার বাসিন্দা ৬৮ বছরের সুনীলবরণ বসুর মাথায় চোট লেগেছে। তাঁর একটি চোখও জখম হয়েছে।
বৃদ্ধের পরিবার জানিয়েছে, কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য শুক্রবার হাওড়া ময়দান এলাকায় গিয়েছিলেন সুনীল। সে সময় সুরজিৎ দু’জন সঙ্গী নিয়ে তাঁকে পিছন থেকে ডাকেন। এর পর বৃদ্ধের রাস্তা আটকে দাঁড়ান। অভিযোগ, এর পর বৃদ্ধের কাছ থেকে মদ খাওয়ার টাকা চান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এর পর টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া নেন সুরজিৎ ও তাঁর সঙ্গীরা।
আহত বৃদ্ধকে প্রথমে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। রাতেই হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুনীলের এক আত্মীয় প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, “শুক্রবার রাতে সুরজিৎ সরকার ওরফে লালু নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার দলবল নিয়ে মামার উপর হামলা চালায়। মদ খাওয়ার টাকা দিতে রাজি না হলে তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। রাতেই সুরজিতের বাড়ির লোকজন মামার বাড়িতে এসে আড়াইশো টাকা ফেরত দিয়ে যায়। তবে মামার কাছ থেকে ঠিক কত টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, “মামাকে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।”
বৃদ্ধকে মারধরের খবর জানিয়ে একটি নেটমাধ্যমে ন্যায্য বিচারের দাবি করেছেন প্রসেনজিৎ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া পুলিশ-প্রশাসন। অভিযুক্ত ওই সিভিক পুলিশকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy