হাওয়া অফিস জানাল, শনিবার বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। — ফাইল ছবি।
কবে আসছে ‘মোকা’? আদৌ কি আছড়ে পড়বে সেই ঘূর্ণিঝড়? এই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তার মাঝেই হাওয়া অফিস জানাল, শনিবার বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। যদিও এই বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা নেই।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘মোকা’। এখনও পর্যন্ত সেই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বলেই আবহবিদেরা জানিয়েছেন। তবে সেই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়তে পারে, সে বিষয়ে হাওয়া অফিস এখনও কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী, ৮ থেকে ১০ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই। এক আবহবিদ জানিয়েছেন, রবিবারই এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, তার আগে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই কলকাতাতেও। বরং কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেই হাওয়া অফিস জানিয়েছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই শুক্রবার বিকেল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
সূত্রের খবর, ঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার এবং পুরসভার ডিজি (সিভিল) পি কে দুয়া। শহরের খালগুলির অবস্থা জানতে বৃহস্পতিবার পুর ভবনে পুরসভা, সেচ দফতর এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিধানসভার পুর ও নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy