আগামী ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে হতে পারে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি। — ফাইল ছবি।
আবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজ্যের ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার শুনানি। বুধবার, ১৫ মার্চ হওয়ার কথা ছিল শুনানি। আগামী ২১ মার্চ হতে পারে সেই শুনানি। ‘আফটার নোটিস মিসলেনিয়াস ম্যাটার’ এই সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি ওই দিন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই পিছিয়ে গেল সেই সব মামলার শুনানি। তার মধ্যে রাজ্যের ডিএ মামলাও ছিল।
ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি, বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু ওই দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। জানুয়ারিতে আবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ১৬ জানুয়ারি, সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও হয়নি। রাজ্যের পেশ করা হলফনামায় ত্রুটি ছিল। ফলে ১৫ মার্চ শুনানির দিন স্থির করা হয়েছিল।
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে, এ কথা ঠিক। আবার এ-ও ঠিক যে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না। শুনানি বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy