কলকাতা হাইকোর্ট ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিলেও বেঁকে বসেছে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে মামলাকারী বিভিন্ন সরকারি কর্মী সংগঠন। আদালত বৈঠকে বসার জন্য যে-সময়সীমা (১০ দিন) বেঁধে দিয়েছে, তার এক দিন অতিক্রান্ত। মঙ্গলবার সেই আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মামলাকারী সংগঠনগুলি রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন তারা ডিএ সংক্রান্ত কোনও আলোচনায় থাকবে না। কারণ, যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের অন্যতম বিষয় হল ডিএ। বৈঠক হলে মামলার উপরে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ।
অন্যতম মামলাকারী সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়’ শুরু থেকেই যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়নি। এ বার একই পথে হাঁটল রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ এবং ইউনিটি ফোরাম। লিখিত ভাবে সরকারকে এই বার্তা জানিয়েও দিয়েছেন ওই সব সংগঠনের কর্তারা।
মামলাকারী কর্মী সংগঠনগুলির বক্তব্য, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লেও তা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে ডিএ নিয়ে কমিশনের সুপারিশে কী আছে, তা জানা নেই। পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ৩৪% এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এখনই ৩৬% ডিএ বকেয়া পড়ে গিয়েছে। মামলাও সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।
কনফেডারেশনের সভাপতি শ্যামলকুমার মিত্র বলেন, “ডিএ-র কোন বিষয়টা বিচারাধীন আর কোনটা নয়, সেটা না-বুঝে পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। তাই প্রথম থেকেই বলে এসেছি, আমরা এই আলোচনায় থাকছি না। এই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে লাভ হবে না।” কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আমরা বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলাম। এই আলোচনার অন্যতম বিষয় ডিএ। পঞ্চম বেতম কমিশন নিয়ে মামলা চলছে। ফলে সেই প্রসঙ্গ বাদ রেখে এখনকার সময়ের ডিএ নিয়ে আলোচনা করে লাভ হবে না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)