Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি-মৃত্যু বাড়েনি ৩৫ দিনে!

ফলে এ দিন হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৩৫ দিনে রাজ্যে ডেঙ্গিতে এক জনও মারা যাননি!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:২১

রাজ্যে ডেঙ্গিতে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়িয়ে দিল বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯।

৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে রাজ্য সরকার যে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল, তাতেও ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ দেখানো হয়েছে। ফলে এ দিন হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৩৫ দিনে রাজ্যে ডেঙ্গিতে এক জনও মারা যাননি!

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ৩০ অক্টোবর নবান্নে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ২৭ জনের নাম এসেছে। এটা মানছি না। পরীক্ষা করতে হবে।’’ এ দিন স্বাস্থ্য অধিকর্তার জমা দেওয়ার রিপোর্টে শুধু সরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা জানানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

তবে ৪ অক্টোবর কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১০,৬৯৭। হাইকোর্টে দেওয়া রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছে ১৮,১৩৫ জন। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা না বাড়লেও ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজারেরও বেশি।

আরও পড়ুন:বর্মেই বিপদ! মেয়েদের মৃত্যু বেশি ডেঙ্গিতে

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য রিপোর্টে এক দিকে যেমন আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করা হয়েছে, তেমনই বলা হয়েছে রাজ্যের অনেক বাসিন্দা অন্যত্র বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে ভাইরাস নিয়ে এসেছেন।

ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য প্রকাশের দাবিতে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে। এ দিন সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও আবার একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গির পরিচিত দুই ভাইরাস ডেঙ্গ-১ ও ডেঙ্গ-৩-এর বদলে নতুন ধরনের দু’টি ভাইরাস ডেঙ্গ-২ ও ডেঙ্গ-৪-এ রাজ্যের মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

রিপোর্টে ডেঙ্গির বাড়াবাড়ির জন্য কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও কম বৃষ্টি, আর্দ্রতা, সব মিলিয়ে আবহাওয়ার বড়সড় পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, অক্টোবরে টানা ছুটি পেয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের বড় অংশ ঘুরতে গিয়েছিলেন দেশ-বিদেশে। সেখান থেকেও মশাবাহিত রোগের ভাইরাস এ রাজ্যে ঢুকেছে।

স্বাস্থ্য অধিকর্তা কোর্টকে বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলছে সরকারি হাসপাতালে। নজরে রয়েছে বেসরকারি হাসপাতালও। বছরের গোড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব মশাবাহিত রোগ নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য দফতর এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে। পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে প্রতিদিন মশার লার্ভা মারার কাজ করতে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতনও করা হচ্ছে।।

রাজ্যে রক্ত বা প্লেটলেটের অভাব নেই বলেও স্বাস্থ্য অধিকর্তার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

Dengue Malaria Water pollution Mosquitoes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy