দেউচা-পাঁচামি নিয়ে বড়সড় আন্দোলনের ভাবনায় সিপিএম। প্রতীকী ছবি
পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচেই এ বার ডেউচা-পাঁচামিতে বড়সড় আন্দোলন করতে চাইছে সিপিএম। বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামিতে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখছে রাজ্য সরকার। সেখানকার কয়লাখনিকে সামনে রেখেই লগ্নি টানার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে রাজ্যের। সেই আবহে সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভও সংগঠিত হচ্ছে। সেই প্রতিবাদকে আন্দোলনের রূপ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেখানেই ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন শীর্ষ নেতারা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য নেতারা জেনেছেন, সেখানে যে বিপুল পরিমাণ কয়লা উত্তোলনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই তেমনটা নয়। আর কয়লা তোলা না গেলে সেখানে শিল্প আসার সম্ভাবনাও তৈরি হবে না। সে ক্ষেত্রে শিল্পায়নের নামে সেখানকার জমি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আত্মসাৎ করে নিতে পারে। তাই নেতারা দলকে সরাসরি এ বিষয়ে ওই এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার ও প্রতিবাদমুখী আন্দোলনে নামতে বলেছেন।
শাখা সংগঠনের নেতাদের থেকে এমন তথ্য জানার পরেই ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চাইছে সিপিএম। সেক্ষেত্রে তাঁদের কাছে মডেল ‘নন্দীগ্রাম’। ২০০৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার ক্ষমতার আসার পর নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেই সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা। তাই তাঁর ধাঁচেই এ বার ডেউচা-পাঁচামিতে বড়সড় আন্দোলন করতে চাইছে সিপিএম। রাজ্যসিপিএমের এক নেতার কথায়, বামপন্থীরা বরাবরই গণআন্দোলন করে এসেছে। ডেউচা পাঁচামি নিয়ে যে তথ্য পার্টির কাছে এসেছে, তাতে আন্দোলন করেই সেখানে সরকারের গায়ের জোরে জমি দখল করাকে রুখতে হবে। তাতে যেমন এলাকার মানুষের আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তেমনই, সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে আন্দোলনের প্রথম সারিতে রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy