প্রতিবাদ: শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের মিছিলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
পাহাড়ে তাঁকে নিগ্রহ এবং বিজেপি কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মীরা শিলিগুড়ির হাসমিচক থেকে সেবক মোড় অবধি বিক্ষোভ মিছিল করেন। সিকিম থেকে সোজা নেমে এসে ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন দিলীপবাবু। পরে আরেক দফায় বিজেপির মিছিল হাসমিচক অবধি যায়।
ঘণ্টাখানেকের মিছিলে হিলকার্ট রোডে তীব্র যানজট দেখা দেয়। বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। পাহাড়ের পরিস্থিতির জন্য এ দিন ফের রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তেমনই, বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলেই সমস্যা মিটবে বলে তিনি আশাবাদী।
দিলীপবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাহাড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে না। গত তিনমাস নানাভাবে মামলা, গোলমাল করে মোর্চাকে বদনাম করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আশ্বাসে বনধ উঠলেও বিনয় তামাঙ্গকে দিয়ে পাহাড়ে গুন্ডামি শুরু করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, আমরা চাই, বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হোক। দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু রাজ্য তা চাইছে না।
গত বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে চকবাজারে দিলীপবাবুকে নিগ্রহ এবং কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে। রাতেই দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। পাল্টা বিজেপি প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এসব মামলা করলে মানুষের আওয়াজ রুদ্ধ করা যাবে না। আমরা ওসব নিয়ে বিশেষ ভাবি না।’’
এদিন সকালে দার্জিলিং থেকে সোজা সিকিমে যান দিলীপবাবুরা। সেখানে বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। নামচি চারধামে যান। এর ফাঁকেই তিনি বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন। তবে বিমল গুরুঙ্গের দেখা হয়নি বলে দিলীপবাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যা করি, প্রকাশ্যে করি। আমার গাড়ির সঙ্গে তো পুলিশের গাড়ি ছিল। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ছিল। লুকিয়ে কিছু করি না।’’
এ দিন বিকাল ৪টা নাগাদ মিছিলের কথা থাকলেও তা ৭টায় শুরু হয়। দিলীপবাবু সিকিম থেকে না আসা অবধি হাসমিচকের দলের দফতরের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে থাকেন। এতে বিকাল থেকেই যানজট শুরু হয়। মিছিল শুরু হতে হিলকার্ট রোড একপাশ বন্ধ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy