মমতা ও দিলীপ।
দুর্নীতির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত শংসাপত্র দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সারদা এবং নারদ কেলেঙ্কারি নিয়ে বহু বার মুখ্যমন্ত্রীকেও বিদ্ধ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের দিকে। এই প্রথম সেই অবস্থান থেকে সরে দিলীপবাবু মঙ্গলবার বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বসু— এ রকম পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কাউকে তো সিবিআই বা ইডি ডাকছে না!’’
যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। এ জন্য দিলীপ ঘোষের সার্টিফিকেট লাগবে না। কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপকর্মের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢাল না করলেই বরং দিলীপবাবু ভাল করবেন।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি তাদের ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর জন্য সিবিআই এবং ইডি-কে ব্যবহার করে। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘সিবিআই এবং ইডি-র নির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি আছে। তাতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু বিজেপি কখনও তাদের প্রভাবিত করে না।’’ দিলীপবাবু আরও বলেন, ‘‘সিবিআই এবং ইডি যাঁদের ডাকছে, তাঁদের ভাবমূর্তি কেমন, খেয়াল করতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলেই তো ডেকেছে!’’
মুকুল রায়ের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার মুখে দিলীপবাবুর এহেন বক্তব্যে কেউ কেউ আবার অন্য গন্ধও পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, সারদা-নারদ দুই কেলেঙ্কারিতেই মুকুলের নাম রয়েছে। সিবিআই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। ফলে ঘুরিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ঘটনাচক্রে মুকুলও ক’দিন আগে বলেছিলেন, মমতা ওই সব কেলেঙ্কারির বিষয়ে জানতেন না। সে দিন কিন্তু তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন দিলীপবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy