দিলীপ মহন্ত। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে তিওড়ের হোমের আবাসিক কিশোরীদের ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হোমের কর্ণধার দিলীপ মহন্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে বর্ধমানের পানাগড় থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার ওসি পার্থ ঝার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিলীপকে গ্রেফতার করেন। গত ৩ অগস্ট দিলীপের কুকীর্তির অভিযোগ সামনে আসে। হোমের ৬ জন আবাসিক কিশোরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ভক্তি সরকার লাহা হিলি থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযুক্ত দিলীপ গ্রেফতার না হওয়ায় নানা মহলে ক্ষোভ ছড়ায়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পুলিশ সুপার শীশরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘ডিএসপি-র নেতৃতে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করে ওকে খোঁজা হচ্ছিল।’’ তবে দিলীপ পানাগড়ে আত্মসমর্পণ করবেন বলে বুধবার সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশকে জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ হিলি থানা থেকে দিলীপকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। সে সময় মামলার নথিপত্র আদালতের কাছে এসে না পৌঁছনোয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহীতোষ দত্ত অভিযুক্তকে দুপুর দুটোর পর মামলা শুনানির জন্য এজলাসে হাজির করাতে নির্দেশ দেন। এরপর দিলীপকে ফের আদালতের হাজতে নিয়ে রাখা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘২০ বছর ধরে এনজিও চালাচ্ছি। যিনি অভিযোগ করেছেন, তার কাছে গিয়ে শুনুন।’’ এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই হোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ভক্তি সরকার লাহা বলেন, ‘‘এ বার তিনি যেন উপযুক্ত শাস্তি পান।’’ এদিন শক্তিবাবু ওই হোমের দুঃস্থ ও অসহায় ৯৪ জন আবাসিকের শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা আইনে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক, জেলার সাংসদ, মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল থেকে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের চেয়ারপার্সন মানেকা গাঁধীকে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ফের দিলীপকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহীতোষ দত্তের আদালতে তোলা হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারক মহীতোষ দত্ত অভিযুক্ত দিলীপকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। মামলাটির পরের শুনানি আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy