চা বাগান চলে কেন্দ্রীয় আইনে। তাতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু অনাহারে বা অপুষ্টিতে বাগানে কারও মৃত্যু হলে রাজ্য তার দায় এড়াতে পারে না। সে কথা মাথায় রেখে চা বাগানগুলি যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে তার জন্য পৃথক একটি ডিরেক্টরেট তৈরি করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুক্রবার তাঁর দ্বিতীয় সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছেন মমতা। কী ভাবে ওই ডিরেক্টরেট কাজ করবে খুব শীঘ্রই তার রূপরেখাও তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
নবান্ন সূত্রের খবর, চা বাগানগুলির সার্বিক উন্নতির জন্য গত এক বছর ধরে রাজ্য সরকার দফায় দফায় চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই চিঠির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজে উত্তরবঙ্গে এসে একাধিক বাগান ঘুরে দেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রের বক্তব্য, চা বাগানের কাজকর্ম যে হেতু শ্রমিকনির্ভর তাই রাজ্যকে এর দায় নিতে হবে। উত্তরবঙ্গ প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘নয়া টি ডিরেক্টরেট তৈরি হোক। তার পরে নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা শুরু হবে।’’ ওই কর্তার বক্তব্য, বাগান-শ্রমিকদের দু’টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্যশিবির বসছে। এর বাইরে ইন্দিরা আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফলও যাতে বাগান শ্রমিকেরা পান, সেই দাবি আবারও পেশ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy