—ফাইল চিত্র।
সভাধিপতি বা সহকারী সভাধিপতির কথায় আর পরিচালিত হবে না জেলা পরিষদ। পঞ্চায়েত দফতরের প্রস্তাবে নবান্ন সিলমোহর দিলে প্রতিটি জেলা পরিষদের মাথায় বসবেন এক জন করে মেন্টর ও ডেপুটি মেন্টর।
পঞ্চায়েত আইনে অবশ্য এই ধরনের কোনও পদের উল্লেখ নেই। সংবিধানের ৭৩তম সংশোধনীর পরে পদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর কোনও সুযোগ নেই বলেও পঞ্চায়েত দফতরের একাংশের অভিমত।
মেন্টর, ডেপুটি মেন্টর নিযুক্ত হলে তাঁদের পদমর্যাদা বা সাম্মানিক কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা পদমর্যাদায় প্রতিমন্ত্রীর সমান। যদি তাঁদের মাথার উপর মেন্টর ও ডেপুটি মেন্টর বসানো হলে তাঁদের পূর্ণমন্ত্রী বা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। ফলে ২৩টি জেলায় ৪৬ জন মন্ত্রীর সমতুল পদ তৈরি হবে। এর আগে মন্ত্রী পদমর্যাদার ১৩ জন পরিষদীয় সচিব নিয়োগ করেছিল সরকার। আদালতের রায়ে তাঁদের চাকরি গিয়েছে। পঞ্চায়েতের মেন্টর-ডেপুটি মেন্টর নিয়েও অনেকে একই আশঙ্কা করছেন।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সরকার কাজে লাগাতে চায়। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই মতো কাজ হবে।’’ পাশাপাশি গ্রাম প্রধানদের চেক সই করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে পঞ্চায়েত সচিবদের হাতে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে সেটিও কার্যকর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy