Advertisement
E-Paper

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জমি খুঁজছেন জেলাশাসকেরা 

সাধারণত, একটি খোলা জমিতে ময়লা স্তূপীকৃত করে রাখা হয়। যা জমতে জমতে পাহাড় হতে থাকে।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ 

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৬:৩১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হাতে আর পাঁচ মাস সময়। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুসারে চলতি বছরের মধ্যেই রাজ্যে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের সিংহভাগ কাজ করতে হবে। জমি জট কাটিয়ে ৮০টি পুরসভায় এই কাজ গতি পেলেও ৪০টির মতো পুর কর্তৃপক্ষের হাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজের জন্য নিজস্ব জমি নেই। নির্দিষ্ট সময়সীমা মানতে মরিয়া পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর প্রয়োজনে জমি কিনতেও রাজি।

সাধারণত, একটি খোলা জমিতে ময়লা স্তূপীকৃত করে রাখা হয়। যা জমতে জমতে পাহাড় হতে থাকে। কিন্তু তা সরানোর ক্ষেত্রে বহু পুরসভার নিজস্ব জায়গা নেই। তাই অন্য পুর এলাকা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়। আদতে তা পরিবেশের ক্ষতি করে। ভাগাড়ের মিথেন গ্যাস আশেপাশের বায়ু বিষিয়ে দিয়ে থাকে।

তাই প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ। আর সে কাজে জমির প্রয়োজন। কিন্তু প্রায় ৪০টি পুর কর্তৃপক্ষের হাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজের জন্য নিজস্ব জমি নেই। সে কারণে জমির বন্দোবস্তের জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর। এ ক্ষেত্রে, কোনও খাস জমি খুঁজে বার করতে পারেন জেলাশাসক তথা জেলা জমি অধিগ্রহণ কমিটির চেয়ারম্যান। খাস জমি না পাওয়া গেলে ব্যক্তি বা সমষ্টি মালিকানা থাকা জমি কিনতে পারবেন জেলাশাসক। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

রাজ্যের ১২৫টি পুরসভাতেই করতে হবে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ। তেমনই নির্দেশ রয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জমির সমস্যা মিটিয়ে ৮০টি পুরসভায় কাজ গতি পেতে শুরু করেছে। তবে আরও কিছু পুর এলাকায় জমির সমস্যার কারণে তা শুরু করা যাচ্ছে না। সে কারণে জমির বন্দোবস্তের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পৃথকীকরণ। সে কাজের জন্য রাজ্যের ১২৫টি পুরসভায় এক কোটি ডাস্টবিন দেওয়ার পরিকল্পনা করে পুর দফতর। তার মধ্যে বিভিন্ন পুর এলাকায় ৩০ লক্ষ ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭০ লক্ষ আগামী মাস তিনেকের মধ্যে দেওয়া হবে বলে আশাবাদী দফতর। একই সঙ্গে, পুরসভাগুলিকে ময়লা তোলার জন্য ৬০০ ‘ট্রিপার' (অটোর মতো দেখতে ডিজেল বা ব্যাটারি-চালিত গাড়ি) দিতে চলেছে তারা। পুর কর্তাদের মতে, ‘‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়নের কাজও চলছে। শেষ পর্যন্ত কতটা করা যাবে, তা সময় আর পরিস্থিতি স্থির করবে।’’

Coronavirus in West Bengal COVID-19 DM COVID-Waste Management
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy