Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেত্রীর হুমকিতে ইস্তফা ডাক্তারের!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হরিরামপুরের এক তৃণমূল নেত্রী হাসপাতালে গিয়ে দেখেন একটি শিশু কান্নাকাটি করছিল। ওই নেত্রী তখন খোঁজ করেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক কে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৩

গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। তার পরেই ওই চিকিৎসক চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলমের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেন। সৌভিক বলেন, ‘‘আমি উপর মহলে সব জানাব। ওই চিকিৎসক ফৈজা নাসরিনকেও বোঝানোর চেষ্টা করব।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘ইস্তফাপত্র পেয়েছি। খতিয়ে দেখছি।’’ ফৈজা পুলিশের কাছেও অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে। পুলিশ রবিবার অরূপ মোহাম্ত নামে এক জনকে
গ্রেফতার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হরিরামপুরের এক তৃণমূল নেত্রী হাসপাতালে গিয়ে দেখেন একটি শিশু কান্নাকাটি করছিল। ওই নেত্রী তখন খোঁজ করেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক কে রয়েছেন। দায়িত্বে ছিলেন ফৈজা। তিনি পাশেই কোয়ার্টারে খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, চিকিৎসককে হাসপাতালে দেখতে না পেয়ে ওই নেত্রী তখন বলতে থাকেন, ‘‘অসভ্য, অভদ্র একটি মহিলা। এখানে এখনই না এলে আমিও ওকে মেরে দিতে পারি।’’ নেত্রীর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েক জন অনুগামীও চিৎকার, চেঁচামেচি করেন বলে অভিযোগ। ফৈজা এবং সৌভিক সকলেই ছুটে হাসপাতালে চলে আসেন। অভিযোগ, ওই নেত্রী তখন ফৈজাকে আর এক দফা গালিগালাজ করেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর অবশ্য দাবি, ‘‘আমি চেঁচামেচি করিনি। আমি শুধু দাদার জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। তখন বাচ্চাটাকে কাঁদতে দেখেছিলাম। কে বা কারা চিৎকার করেছে আমি জানি না।’’

ফৈজা রাতেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। তিনি হরিরামপুরেরই গোকর্ণের বাসিন্দা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। জুলাইয়ে এই হাসপাতালে যোগ দেন। তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। মেসেজের উত্তর দেননি। এই হাসপাতালে তিন জন চিকিৎসক। তার মধ্যে একজন ইস্তফা দিলে পরিষেবা বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা অনেকেরই।

কিছু চিকিৎসক কর্মবিরতি করবেন বলেও হুমকি দেন। স্থানীয় বিডিও বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করতে চাইছিলেন। আমি তাঁদের বুঝিয়ে কর্মবিরতি না করতে বলেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘ওই নেত্রী আমায় সব বলেছেন। তিনি চিকিৎসককে কিছুই বলেননি। ওখানে কয়েকজন বাইরের লোক ছিল তারাই চিৎকার করছিল।

Threat Doctor Resignation TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy