Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

৮০ ছুঁলেই সুবিধা পোস্টাল ব্যালটের

৩০ নভেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। পোস্টাল ব্যালট সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্তের প্রথম বাস্তবায়ন হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৭
Share: Save:

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক যজ্ঞে সব নাগরিককে শামিল করতে আগেই নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই যজ্ঞে আরও বেশি ভোটারের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে এ বার ৮০ বছর এবং তার বেশি বয়সি নাগরিকদের পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা দিতে চলেছে তারা। একই সুবিধা পাবেন প্রতিবন্ধীরা। এমনকি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ভোটারেরাও এই সুবিধা পেতে পারেন।

৩০ নভেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। পোস্টাল ব্যালট সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্তের প্রথম বাস্তবায়ন হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডেই। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে (সিইও) নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক কর্তা বলেন, ‘‘এই নতুন পদক্ষেপের পরে অশীতিপর নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীরা বাড়িতে বসেই তাঁদের অধিকার সুনিশ্চিত করবেন।’’

প্রত্যেক ভোটারের বয়সের হিসেব রয়েছে কমিশনের তথ্যভাণ্ডারে। রয়েছে নথিপত্রও। সেই অনুযায়ী অশীতিপর নাগরিকের বয়সের হিসাব মেলাবে কমিশন। প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে কাদের পোস্টাল ব্যালট দেওয়া যেতে পারে, কমিশন সেই সিদ্ধান্ত নেবে ভোটার তালিকা যাচাই করে।

প্রতিবন্ধীদের নথি কমিশনের কাছে নেই বলেই খবর। শুধু প্রতিবন্ধী বা তাঁদের পরিবারের মৌখিক দাবির ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভোট-বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, প্রথমত, কত শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকলে কেউ কমিশনের খাতায় প্রতিবন্ধী ভোটার হিসেবে চিহ্নিত হবেন, নতুন সিদ্ধান্তে তা বলা হয়নি। দ্বিতীয়ত, প্রতিবন্ধীদের কোনও নথি কমিশনে জমা পড়েনি। শুধু ভোটারদের মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ভোটার চিহ্নিত হলে কমিশন এই সুযোগের অপব্যবহার ঠেকাতে পারবে কি?

এর কোনও জবাব কমিশন এখনও দেয়নি। নির্বাচন সদনের কর্তারা শুধু জানান, নতুন সিদ্ধান্ত রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যবস্থা হবে। জরুরি পরিষেবার (রেল, রাজ্য পরিবহণ এবং বিমান) সঙ্গে যুক্ত নাগরিকেরাও পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাবেন বলে জানাচ্ছে কমিশন।

কারণ, অনেকে ওই সব পরিষেবায় কর্মরত থাকায় ভোট দিতে পারেন না বলে অনুযোগ করেন। শুধু রেল, রাজ্য পরিবহণ এবং বিমান ক্ষেত্রই কি জরুরি পরিষেবা মধ্যে পড়ছে, নাকি আরও অনেক কিছু রয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি কমিশন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। ইচ্ছুক ভোটারেরা যাতে ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা না-করে চমক দিয়ে কী লাভ!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Postal Ballot Election Commission of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE