Advertisement
E-Paper

বিএলও এবং বিএলএ-দের হাতে এসআইআরের নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই! জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা পরিবারের কারও নাম না থাকলে নথি লাগবে। নাম থাকলে কোনও নথির দরকার নেই। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য ১৩টি নথির উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৩৪
মঙ্গলবার ভোটারদের বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন বিএলও।

মঙ্গলবার ভোটারদের বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন বিএলও। ছবি: পিটিআই।

বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) এবং বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ)-দের হাতে কোনও প্রকার নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিএলও-রা নথি নেবেন না। তাঁরা শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর জন্য এনুমারেশন ফর্ম দেবেন এবং তা নিয়ে আসবেন। পাশাপাশি, কমিশন এ-ও জানিয়েছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিইও (ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) এবং বিএলও-দের পূর্ণ সময়ের জন্য এসআইআরের কাজ করতে হবে।

রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বা়ড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। সেই ফর্ম ভরে তাঁদের হাতেই দিতে হবে। তবে তাঁদের হাতে কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা পরিবারের কারও নাম না থাকলে নথি লাগবে। নাম থাকলে কোনও নথির দরকার নেই। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য ১৩টি নথির উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া না-গেলে ওই ১৩টি নথির যে কোনও একটি দিতে হবে। শুনানি করে সেই নথি খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই নতুন ভোটার তালিকায় সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম নথিভুক্ত হবে।

কমিশনের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিইও, ইআরও এবং বিএলও-দের পূর্ণ সময়ের জন্য এসআইআরের কাজ করতে হবে। বিএলও-দের অভিযোগ ছিল, চাকরির পাশাপাশি এসআইআরের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের অন ডিউটি দেখানো হোক বলেও দাবি করেন বিএলও-রা। অর্থাৎ যখন এসআইআরের কাজ করবেন, তখন চাকরি করছেন বলেই দেখানো হোক। কমিশনের বক্তব্য, তা কী করে সম্ভব! কারণ, বিএলও-রা কমিশনের কর্মী নন। যে প্রতিষ্ঠানে তাঁরা কাজ করেন, তারা অন ডিউটি দেখাবে কি না, তাদেরই জানাতে হবে। এ বার কমিশনের তরফে জানানো হল, পূর্ণ সময়ের জন্যই এসআইআরের কাজ করতে হবে ডিইও, ইআরও এবং বিএলও-দের।

রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, পশ্চিমবঙ্গে সোমবার পর্যন্ত ম্যাপিংয়ে মিলেছে ৩২.০৬ শতাংশ ভোটারের তথ্য। ওই দিন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭১ হাজার ১১৪ ভোটারের তথ্য মিলেছে। যদিও রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে ভোটারের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটির বেশি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ম্যাপিংয়ে সামান্য কিছু বেশি তথ্য মিলেছে। প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকায় ‘ম্যাপিং’-এর অর্থ— এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালে শেষ এসআইআর-তালিকা মিলিয়ে দেখা। দুই তালিকায় কত জনের নাম অভিন্ন, দেখা হয় তা। সঙ্গে দেখা হয়, এখনকার ভোটার তালিকায় থাকা কোনও ভোটারের মা-বাবার নাম গত এসআইআরের তালিকায় রয়েছে কি না। এই মিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টরা চিহ্নিত হয়ে যান এমনিতেই।

SIR CEO Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy