জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
ভোট নিরাপত্তাকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজরদারি শুরু করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে।
একই সঙ্গে এ বারই প্রথম ভোটের প্রচারে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় পৃথক পদক্ষেপ করেছে কমিশন। লিখিত ভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে তারা বলেছে, ‘‘গুঙ্গা (বোবা), পাগল, অন্ধ-কানা, বেহরা (কালা), ল্যাংড়া-লুলা-অপাহিচ ইত্যাদি শব্দ বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের সরাসরি আঘাত করে।’’ ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কথা বলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছ’মাস থেকে পাঁচ বছরের কারাবাস এবং জরিমানার বিধি যে আইনে রয়েছে, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রের দাবি, ৫ জানুয়ারি থেকে রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে জেলাশাসকদের। সাধারণত, ভোটের ছ’মাস আগে থেকে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট নিতে শুরু করে কমিশন। তাতে গত নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় জেলায় পরিস্থিতির তথ্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতি সপ্তাহের সবিস্তার তথ্য পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, অতীতের কোন ভোটে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকলে, সেই তথ্যও জানানোর কথা জেলা-কর্তাদের। এ দিনই সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব এবং তাঁর দফতরের অন্য কর্তারা।
ভোট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, অস্ত্র উদ্ধার, অতীতের ভোটগুলিতে গোলমাল পাকানো ব্যক্তিদের এখনকার তথ্য ইত্যাদি সবই জানাতে হবে প্রতি সাত দিন অন্তর। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের দাবি, গত লোকসভা, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের সময়ের হিংসা-প্রাণহান নিয়ে বরাবর অভিযোগ তুলে এসেছেন বিরোধীরা। কমিশনের কর্তারা নিরাপত্তার পর্যালোচনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করলে, সেই বিষয়গুলিও গুরুত্ব পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy