Advertisement
২১ মে ২০২৪
Manik Bhattacharya

আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন করেও পরে পিছিয়ে এল ইডি

বৃহস্পতিবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য প্রস্তুত। পরে তারা আদালতকে জানায়, চার্জ গঠনের আবেদন তারা করছে না।

ED changed its decision on charge frame against Manik Bhattacharya in recruitment case

মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৮:১১
Share: Save:

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠনের কথা জানিয়েও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মানিকের জামিনের আর্জি জানানো হয়নি। আপাতত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক।

বৃহস্পতিবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য প্রস্তুত। তার পর এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চায় তারা। বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মানিক সংক্রান্ত মামলায় তাদের তদন্ত শেষ হয়েছে কি না। তদন্ত রিপোর্টও চান তিনি। এর কিছু সময় পরেই দেখা যায়, আদালতে ইডি একটি নথি পেশ করে। কিন্তু তা পেশ করার আগেই তারা আদালতকে জানায়, চার্জ গঠনের আবেদন তারা করছে না। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকও বৃহস্পতিবার তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট আদালতে পেশ করেননি।

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত চার্জ গঠনের আর্জি জানানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই মামলায় মানিকের আগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন না করা হলেও মানিকের বিরুদ্ধে কী ভাবে চার্জ গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

ইডি সূত্রে খবর, এই মামলায় সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন করতে চায় তারা। তাই একা মানিকের বিরুদ্ধে নয়, পরে সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে তারা। গত ২৮ জুলাই নিয়োগ মামলায় আর এক অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেই চার্জশিটে নাম ছিল মানিকেরও। ১২৬ পাতার মূল চার্জশিটের ৭৫ নম্বর পাতার সাত নম্বর পয়েন্টে বলা হয়, মানিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। নির্দিষ্ট একটি ফোন নম্বর থেকে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড মানিককে পাঠাতেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণ ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি ছিলেন, এমনটা দাবি করে চার্জশিটে বলা হয়, কোনও রাজনৈতিক পদে না থাকলেও, রাজ্যের শিক্ষা দফতর কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও মানিকের দফতরে অবাধ যাতায়াত ছিল সুজয়কৃষ্ণের। আর এই প্রভাবের কারণেই বহু চাকরিপ্রার্থী তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড-সহ অন্যান্য নথি তাঁকে পাঠাতেন বলে উল্লেখ করা হয় ওই চার্জশিটে। এ-ও উল্লেখ করা হয় যে, চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করা এবং নিয়োগ করার বিষয়ে কথা বলতে ঘন ঘন মানিকের দফতরে যেতেন সুজয়কৃষ্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manik Bhattacharya Bengal Recruitment Case ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE