Advertisement
১০ নভেম্বর ২০২৪
Ration Distribution Case

‘রেশন দুর্নীতিতে হাজার কোটি নয়ছয়’! অতিরিক্ত চার্জশিটে বলল ইডি, নাম জুড়ল রহমান ভাইদেরও

ইডি নতুন চার্জশিটে মোট আটটি নাম যোগ করেছে। গত ২ অগস্ট রেশন মামলায় দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান এবং তাঁর ভাই আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমানকে গ্রেফতার করেছিল তারা।

ED gave supplementary charge sheet in West Bengal Ration Case

(বাঁ দিকে) গ্রেফতার আনিসুর রহমান। তাঁর ভাই আলিফ নুর (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৮
Share: Save:

রেশন দুর্নীতি মামলায় এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর। এই চার্জশিটে নতুন চার জনের নাম উল্লেখ করেছে তারা। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের সঙ্গে যুক্ত চারটি সংস্থার কথাও জানিয়েছে ইডি।

শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে ইডি। তবে, এই মামলার শুনানি চলছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা করেন তদন্তকারীরা। ইডির তরফে এই চার্জশিট সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদনও করা হয়।

ইডি নতুন চার্জশিটে মোট আটটি নাম যোগ করেছে। গত ২ অগস্ট রেশন দুর্নীতি মামলায় দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান এবং তাঁর ভাই আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমানকে গ্রেফতার করেছিল তারা। তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে তাঁদের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও আরও দুই ডিলারের নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। ইডির দাবি, তাঁরা রহমান ভাইদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে যুক্ত। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চারটি সংস্থার কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি।

আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। এর আগে মূল চার্জশিট ছাড়াও এই মামলায় দু’টি অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যদের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট দিয়েছিল তারা। এ নিয়ে রেশন দুর্নীতি মামলায় ব্যক্তি এবং সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৯টি নাম চার্জশিটে জানাল ইডি।

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর। সেই সূত্র ধরেই অগস্টের গোড়ার দিকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক চালকলে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তালিকায় ছিল দেগঙ্গায় আলিফের বাড়ি এবং চালকল। তার পর তাঁর ভাই আনিসুর এবং আলিফকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। প্রায় ন’ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের। আদালতে ইডি আগেই দাবি করেছিল, রহমান ভাইদের থেকে দফায় দফায় দেড় কোটির বেশি টাকা নিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছিলেন, রেশন দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুরের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন ছিল আনিসুর এবং আলিফের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE