গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বেআইনি অর্থ লেনদেনের অভিযোগে রাজ্য বিধানসভার পিএসির চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীকে নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দু’টি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগেই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে বলে ইডি সূত্রের খবর।
ইডির তরফে গত ২৫ জুলাই রায়গঞ্জের বিধায়কের ব্যবসায়িক সংস্থা ‘কল্যাণী সলভেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের’ রায়গঞ্জের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে ওই নোটিস। দু’টি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অর্থ লেনদেনের হিসাব চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে।
চিঠিতে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পর্যায়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০০২ সালে বেআইনি অর্থ লেনদেন প্রতিরোধ আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জিতলেও কয়েক মাস পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কল্যাণীকে তৃণমূলে যোগদান করান দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পিএসি থেকে মুকুল রায় সরে দাঁড়ানোয় গত ৩০ জুন চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয় কল্যাণীকে। ঘটনাচক্রে, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় কল্যাণীকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘নোটিস পাঠানোর’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মাস ঘোরার আগেই কাকতালীয় ভাবে সেই ‘হুঁশিয়ারি’ ফলে গেল।
এর ফলে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতারা নিয়মিত বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁদের যুক্তি, বিজেপিতে থাকলে ইডির, সিবিআইয়ের ভয় থাকে না। কিন্তু অন্য দলে নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে সব সময়ই ‘সক্রিয়তা’ দেখায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কল্যাণী-কাণ্ডের পর সেই অভিযোগ আরও জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy