Advertisement
E-Paper

সাধন-কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডেকে ইডির তলব

মিঠুন চক্রবর্তী, অপর্ণা সেনের পরে শ্রেয়া পাণ্ডে। অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারি-মামলায় ইডি’র তলব পাওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীর তালিকায় জুড়ল আর একটি নাম। বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শ্রেয়া রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যাও বটে। ইডি-সূত্রের খবর: মিঠুন-অপর্ণাদের ডাকা হয়েছিল সারদা মামলার তদন্তে। আর শ্রেয়াকে ডাকা হয়েছে রোজ ভ্যালি-কাণ্ডের সূত্রে। ইডি-র অভিযোগ, রোজ ভ্যালির নথি মোতাবেক সংস্থার প্রায় দু’কোটি টাকা গিয়েছে শ্রেয়া ও তাঁর মা সুপ্তি পাণ্ডের কোম্পানিতে। এ বিষয়েই তাঁদের কাছে বিস্তারিত হিসেব চাওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০৩:৫০
শ্রেয়া পাণ্ডে

শ্রেয়া পাণ্ডে

মিঠুন চক্রবর্তী, অপর্ণা সেনের পরে শ্রেয়া পাণ্ডে। অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারি-মামলায় ইডি’র তলব পাওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীর তালিকায় জুড়ল আর একটি নাম। বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শ্রেয়া রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যাও বটে।

ইডি-সূত্রের খবর: মিঠুন-অপর্ণাদের ডাকা হয়েছিল সারদা মামলার তদন্তে। আর শ্রেয়াকে ডাকা হয়েছে রোজ ভ্যালি-কাণ্ডের সূত্রে। ইডি-র অভিযোগ, রোজ ভ্যালির নথি মোতাবেক সংস্থার প্রায় দু’কোটি টাকা গিয়েছে শ্রেয়া ও তাঁর মা সুপ্তি পাণ্ডের কোম্পানিতে। এ বিষয়েই তাঁদের কাছে বিস্তারিত হিসেব চাওয়া হয়েছে।

শ্রেয়া অবশ্য বেআইনি কোনও রকম লেনদেনের কথা মানতে চাননি। অভিনেত্রীর দাবি: তাঁদের ইন্টিরিয়র ডেকরেশনের ব্যবসা রয়েছে, এবং রীতিমতো চুক্তি করেই তাঁরা রোজ ভ্যালির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। যার বিস্তারিত হিসেব শুক্রবার সংস্থার এক অফিসার মারফত ইডি’কে তিনি পাঠিয়েও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রেয়া। ‘‘আমার তো লুকোনোর কিছু নেই। পরিশ্রম করে রোজগার করেছি। হিসেব চেয়েছে, তাই পাঠিয়ে দিয়েছি।’’— এ দিন বলেন তিনি। সাধন-কন্যার এ-ও অভিযোগ: তিনি নিজে অভিনেত্রী ও তাঁর বাবা মন্ত্রী বলেই ব্যাপারটা নিয়ে বেশি হইচই হচ্ছে। আর সাধনবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার মেয়ে স্বাধীন ভাবে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে কাজ করে। হিসেব নিয়ে কোনও গোলমালের মধ্যে ওরা নেই।’’

ইডি-সূত্রের খবর: রোজ ভ্যালির সঙ্গে বহু সংস্থার লেনদেন রয়েছে। এখন সেই কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সামান্য সন্দেহ হলেই হিসেব চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। শ্রেয়ার সংস্থা সম্পর্কে সন্দেহের কারণ কী, সে প্রসঙ্গে অবশ্য তদন্তকারীরা মুখ খুলতে চাননি।

তবে ইডি-সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্রেয়া ও তাঁর মায়ের সংস্থা (ইউনিক টেকনিকন) রোজ ভ্যালির দু’টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে অফিস ও রেস্তোঁরা সাজানোর কাজ করে। সে বাবদ তাঁরা কত টাকা পেয়েছেন, কী ভাবে লেনদেন হয়েছে, ইডি এখন তা জানতে চাইছে। এ দিন শ্রেয়ার দাবি, চুক্তি অনুযায়ী যা প্রাপ্য ছিল, তার অনেক কমই পেয়েছেন। রোজ ভ্যালির তরফে ই-মেল করে তাঁকে বলা হয়, টাকার টানটানিতে পুরো বিল মেটানো যাচ্ছে না। ‘‘ইডি-কে ওই ই-মেলের কপিও পাঠিয়েছি।’— বলেন শ্রেয়া।

রোজ ভ্যালির সঙ্গে তাঁদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্রপাত কী ভাবে?

শ্রেয়া জানিয়েছেন, একটি নাইটক্লাবের উদ্বোধন-অনুষ্ঠানে রোজ ভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে তাঁর আলাপ। সেটা ২০১২, ছ’বছর মুম্বইয়ে কাটিয়ে তখন সদ্য তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। এর পরেই মন্দারমণিতে রোজ ভ্যালির হোটেল লাগোয়া রেঁস্তোরা সাজানোর বরাত আসে, যে কাজের জন্য রোজ ভ্যালির হোটেল সংস্থার সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয়েছিল। পরে পার্ক স্ট্রিটে রোজ ভ্যালির আর একটি শাখা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়।

শ্রেয়ার দাবি, এই সংক্রান্ত সাড়ে চারশো ফোটোও তাঁরা ইডি’কে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি কবে, কোথায়, কোন ব্যাঙ্কের কত টাকার চেক পেয়েছেন, সে সবেরও বিস্তারিত তথ্য ইডি-কে দেওয়া হয়েছে।

abpnewsletters ED chit fund Sadhan Pandey Enforcement Directorate Shreya Pandey
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy