Advertisement
E-Paper

এসআইআরে জাল নথি দিলে সাত বছরের জেল হতে পারে! ভুয়ো ভোটার আটকাতে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল কমিশন

মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি হতে পারে জরিমানাও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৭

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) পর্বে কেউ সরকারি নথি কিংবা পরিচয়পত্র জাল করলেই কড়া শাস্তি হবে। ভুয়ো ভোটার রুখতে এ বার এমনটাই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি হতে পারে জরিমানাও। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম, বিবাহ কিংবা মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র কিংবা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করেন, তা হলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।

পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোটার তালিকার ঝাড়াই-বাছাই চললেও অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারেরা রয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। অনেকের দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে এ রাজ্যে বসবাস করছেন। কখনও আবার ভুয়ো নথি দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা সাজিয়ে ভোটার কার্ড বানাচ্ছেন কেউ কেউ। এমনিতেই ভুয়ো ভোটার ধরতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার শুরু করেছে কমিশন। এআই-এর সাহায্যে প্রত্যেক ভোটারের নাম, ছবি-সহ যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে কারও তথ্যে গরমিল থাকলে তা সহজেই ধরা সম্ভব হবে। অনুপ্রবেশকারীদেরও চিহ্নিত করা যাবে বলে দাবি।

প্রসঙ্গত, আর মাত্র দু’দিন পরেই এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোডের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। সেই তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবি কমিশনে জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে (হিয়ারিং) ডাকা এবং আলোচনার সাপেক্ষে সন্দেহ দূর করার কাজ ইআরও-রা করবেন ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

SIR Special Intensive Revision Election Commission Fake Documents
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy