নাটাবাড়ি হাইস্কুলে দলীয় কর্মিসভায় উদয়ন গুহ। —নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে। রবিবার দলীয় কর্মিসভার মঞ্চ থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কটাক্ষ করলেন উদয়ন গুহ। কোচবিহারের জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথের নাম করেই বললেন, চালতা গাছ লাগিয়ে ল্যাংড়া আমের আশা করলেও তা কখনই হবে না। রবীন্দ্রনাথ যে দলের মধ্যে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন, সে দাবিও করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন। যদিও এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
রবিবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। নাটাবাড়ি হাইস্কুলের ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিজের ভাষণে রবীন্দ্রনাথকে আক্রমণ করেন উদয়ন। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে চালতা গাছ লাগিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যদি ভাবেন যে তাতে ল্যাংড়া আম ফলবে, তা কখনই হবে না। আপনি দলের মধ্যে গন্ডগোল পাকাবেন, আইএনটিটিইউসি-র নাম করে আলাদা করে মিটিং করবেন, সেখানে অন্য নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন না আর আপনাকে সব মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে! সেটা হবে না। যত বড় নেতাই হই না কেন, সঠিক ব্যবহার না করলে ভোটে কেউই জিততে পারব না।’’
প্রসঙ্গত, কোচবিহারে দীর্ঘ দিন ধরেই গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। অভিযোগ, এর জেরেই বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার ন’টির মধ্যে মাত্র দু’টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে শাসকদল। গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কর্মীদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশ জারি করলেও তা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। এ বার কর্মীদের বদলে জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশেই সরাসরি বার্তা দিলেন উদয়ন।
রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে উদয়নের মতোই আক্রমণ শানিয়েছেন কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলা তৃণমূল গড়ার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কিন্তু বাচ্চাকে জন্ম দিয়েছে বলে তার গলা টিপে মেরে ফেলার অধিকার রবীন্দ্রনাথের নেই। দল কারও বাবার সম্পত্তি নয় যে দলের দায়িত্বে রয়েছে বলে তাঁর কথা শুনে চলতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy