হাসিম আব্দুল হালিম
প্রয়াত হলেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। বেশ কিছু দিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার সকাল ১০টা ১০ নাগাদ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে হঠাত্ই শ্বাসকষ্ট বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়। এর পর তাঁকে রয়েড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাক্তন স্পিকারের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘স্পিকার হালিমের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। দুর্গাপুজোর পর শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক জ্ঞাপন করেছেন। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।’’ শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
হাসিম আব্দুল হালিমের প্রয়াণে কার কী শোকবার্তা পড়তে ক্লিক করুন
রাজ্যে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে ১৯৭৭-এ। সেই বছরই সিপিএম প্রার্থী হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হন হালিম। এর পর তিনি ছয় বার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন। তবে শেষ পাঁচ বছর তিনি এন্টালির বিধায়ক ছিলেন। প্রথম বার বিধায়ক হয়েই আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। প্রথম পাঁচ বছর সেই গুরুভার সামলানোর পর ফের জিতে বিধানসভায় পেলেন নতুন দায়িত্ব। ১৯৮২তে হালিম বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন। সেই থেকে ২০১১-য় রাজ্যে পালাবদলের সরকার আসার আগে পর্যন্ত তিনিই সামলেছেন স্পিকারের দায়িত্ব।
প্রায় ২৯ বছর তিনি একটানা স্পিকারের দায়িত্ব সামলেছেন। গোটা দেশে এমন এমন উদাহরণ আর নেই। বিধানসভা বিশেষজ্ঞ দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্পিকার হিসেবে এতটাই পারদর্শী ছিলেন তিনি যে, অন্য রাজ্যের স্পিকাররা তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন।’’
স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে রেখে গেলেন হালিম। তাঁর অন্য এক মেয়ে আগেই প্রয়াত হয়েছেন। ছোটমেয়ে বিদেশে থাকেন। তিনি বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেশে ফিরছেন। এ দিন গভীর রাতে বা আগামীকাল সকালে মেয়ে এসে পৌঁছলে হালিম সাহেবের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
আনন্দবাজার আর্কাইভে হাসিম আব্দুল হালিম
সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy