আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অবশেষে মহেশতলার শিল্পতালুকের আগুন নিয়ন্ত্রণে এল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ওই শিল্পতালুকে আগুন লাগে। এর পর মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ তা আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
দমকল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মহেশতলার ডাকঘর এলাকায় দু’টি কারখানায় আগুন নেভাতে ১৪টি দমকল ইঞ্জিন কাজে লাগানো হয়েছে। এমনকি, রোবটের মাধ্যমেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। তবে প্রাথমিক ভাবে বিপদ কেটে গেলেও ‘পকেট ফায়ার’ অব্যাহত থাকায় ঘটনাস্থলে ৪টি ইঞ্জিন এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি কারখানা ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে একটি স্যানিটাইজার এবং অন্যটি নারকেল তেলের কারখানা ছিল। বাকি দু’টি রাসায়নিক তৈরির কারখানা। মঙ্গলবার ওই শিল্পতালুকে দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় আর একটি কারখানার দেওয়াল হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে৷ এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা জানা যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহেশতলার শিল্পতালুকে স্বল্প পরিসরের মধ্যে প্রায় আড়াইশো কারখানা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত কারখানাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দমকল এবং পুলিশ বাহিনী। দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর সনৎকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘কারখানার কাছাকাছি জলাশয় না থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছ। পরে একটি কারখানার দেওয়াল ভেঙে পাশের পুকুর থেকে জল সংগ্রহ করা হয়। কারখানাগুলিতে রাসায়নিক এবং ভোজ্যতেল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার নেয়৷ তবে এখন আগুন আয়ত্তে এসেছে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy