সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
এক মাস পেরোতে না পেরোতেই তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হল হালিশহরের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরদের মধ্যে অনেকের। মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁদের নিয়ে সংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই ওই নেতাদের দলে প্রত্যাবর্তনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ভয় দেখিয়ে, ওই নেতাদের জোর করে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায়-সহ বাকিদের নিয়ে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওঁরা বিজেপির কবল থেকে ফিরে আসার সাহস দেখিয়েছেন। জঙ্গল থেকে বাঘকে বার করে নিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু বাঘের মন থেকে জঙ্গল বার করবে কী ভাবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালবাসাই সকলকে দলে ফিরিয়ে এনেছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জোর করে হালিশহরের পুরপ্রধানের দলবদল করা হয়েছিল। জোর করে, রিভলভার ঠেকিয়ে, ভাঙচুর চালিয়ে তাঁদের দলবদল করতে বাধ্য করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে, অমিত শাহর কাছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোদ্ধা হিসাবে যতটা সম্মান ওঁরা পেয়েছিলেন, দিল্লিতে বিজেপি-র দফতরে তা পাননি। গেরুয়া পতাকা ও পানপরাগের গন্ধে হাসফাঁস করছিলেন। তাই ফের মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে ফিরে এসেছেন।’’
আরও পড়ুন: নিউ টাউনে ফিরুক বসু-নাম, সরব বাম
আরও পড়ুন: শহরে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ ছাত্রীকে, দক্ষিণ কলকাতায় গ্রেফতার গৃহশিক্ষক
ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও এ দিন অর্জুন সিংহ এবং তাঁর দলবলকেও একহাত নেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘ভাটপাড়ায় থেকে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিজেপি। নতুন বসের কাছে প্রোমোশনের জন্য, নিজের স্কোর বাড়ানোর জন্য সেখানে তৃণমূল কর্মীদের উপর জোর জবরদস্তি চালাচ্ছেন অর্জুন এবং তাঁর লোকজন। ভয় দেখিয়ে, কারখানা গুঁড়িয়ে মানুষের মানুষের মধ্যে ফোবিয়া ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিজেপি না করলে খুন হয়ে যাবে, মারধর করা হবে, হাতছাড়া হয়ে যাবে সম্পত্তি। তাই ইচ্ছা না থাকলেও, শুধুমাত্র পরিবারের মুখ চেয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে বাধ্য হন অনেকে।’’
তবে ওই নেতারা তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় তাঁদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বিজেপির ব্যারাকপুরের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তিনি বলেন, ‘‘চেয়ারম্যান এবং কয়েক জন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরেছেন বলে শুনছি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর এখনও বিজেপিতেই। ’’ বিষয়টি নিয়ে আজ বিকালেই বিজেপি নেতৃত্ব বৈঠকে বসছেন বলে জানিয়েছেন ফাল্গুনী পাত্র। স্থানীয় মণ্ডল কমিটিকে নিয়ে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন বিজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মুকুল রায়ও।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy