ফিরহাদ হাকিম।
‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির কারণে কলকাতা পুরভোটে তাঁর টিকিট পাওয়াই কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নীতি দলে আনতে চেয়েছেন বলে অন্তত তিনি শোনেননি। শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনের সান্ধ্য-আড্ডার অনুষ্ঠান ‘অ-জানা কথা’য় এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ওরফে ববি হাকিম।
গত বছর নভেম্বরে পুরভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার আগে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই ববি, অতীন ঘোষ, মালা রায়দের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক ভাবে। স্বয়ং নেত্রীর হস্তক্ষেপেই পুরভোটের টিকিট পান ববিরা। টিকিট পেলেও দলের একাংশ সেই দাবি করেছিল, অভিষেকের নীতি মেনেই মেয়র পদের দৌড়ে নেই ববি। আবার অন্য একটি অংশের দাবি ছিল, দলনেত্রী প্রার্থিতালিকায় ববির নাম ঘোষণা পর তৃণমূলের অন্দরে তো বটেই, শহরের মানুষও জানতেন, মেয়র পদের দৌড়ে ববিই এগিয়ে।
পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর মহারাষ্ট্র নিবাসে দলের বৈঠকে মেয়র পদে ববির নাম ঘোষণা হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, নেত্রীই আরও এক বার তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন, আর সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে তিনি জীবন দিতেও পিছপা হবেন না।
আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠানে ববি বলেন, ‘‘দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমাদের সবাইকেই মেনে চলতে হবে। আর এই দলের নির্দেশক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যা বলেন, ভালর জন্যই বলেন। তাই ছোট থেকে আমরা কখনও তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি।’’
কিন্তু দলনেত্রী কি নিজে চাইছেন দলে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি চালু হোক? এই প্রশ্নের জবাবে ববি শুধু বলেন, ‘‘এমনটা আমি কখনও শুনিনি।’’
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র নিবাসে দলের বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মেয়র পদে ববির নাম প্রস্তাব করার পর মমতা যখন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘কারও কোনও আপত্তি আছে?’’ তখন কোনও আপত্তি আসেনি। উল্টে সুব্রত বলেছিলেন, ‘‘আপনি বলে দিলে কে আর আপত্তি করবে!’’ ঘটনাচক্রে, সে দিন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy