Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Ballygunge

Babul Supriyo: নিজে বালিগঞ্জ তো জিতলেনই, তৃণমূল প্রথম আসানসোলও জিতল ‘বাবুল-সৌজন্যে’

২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮ আসনে জয়-পাওয়া বিজেপি আসানসোলে দলের মাটি আরও শক্ত করে নেয়। ব্যবধান বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার জয় পান বাবুল। এ বার সেই আসানসোলই তৃণমূলের।

বাবুলের বিজেপি-ত্যাগ এবং সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়াতেই আসানসোল লোকসভায় উপনির্বাচন হয়েছে। শত্রুঘ্ন সিন্‌হার জয়ে প্রথম ঘাসফুল ফুটল ওই আসনে।

বাবুলের বিজেপি-ত্যাগ এবং সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়াতেই আসানসোল লোকসভায় উপনির্বাচন হয়েছে। শত্রুঘ্ন সিন্‌হার জয়ে প্রথম ঘাসফুল ফুটল ওই আসনে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পিনাকপাণি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৪১
Share: Save:

দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ বেশ কিছুদিন থেকেই তৃণমূলের ‘গড়’। সেখানে বাবুল সুপ্রিয়র লড়াই খানিকটা সহজই ছিল। অঙ্ক ছিল জয়ের ব্যবধান নিয়ে। কিন্তু আসানসোলেও তৃণমূলের জয়ে বাবুল-ছায়া রয়ে গেল। বাবুলের বিজেপি-ত্যাগ এবং সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়াতেই আসানসোল লোকসভায় উপনির্বাচন হয়েছে। সেই উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিন্‌হার জয়ে প্রথম ঘাসফুল ফুটল ওই আসনে। জয়ের পরে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই হয়েছে লড়াই। আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ।’’ একই সঙ্গে শত্রুঘ্ন জানান, তাঁর জয়ের পিছনে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

২০১৪ এবং ২০১৯— পরপর দু’বার আসানসোলে বিজেপি-র টিকিটে জয় পান বাবুল। প্রথমবার আসানসোল জিততে, বাবুলকে জেতাতে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন আসানসোলে। ‘অব কি বার, মোদী সরকার’ স্লোগান তুলে গোটা দেশে প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে এই রাজ্যে সে ভাবে ‘মোদী হাওয়া’ কাজ না করলেও আসানসোল জিতেছিল বিজেপি। জিতেছিল দার্জিলিংও। তবে সেটা বিজেপি-র একক জয় ছিল না। সে বার পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট ছিল পদ্মের। তাই মোদী, অমিত শাহ জমানায় বাংলায় লোকসভা আসন জয়ের বিচারে বিজেপি-র পতাকা প্রথম উড়েছিল আসানসোলেই। ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮ আসনে জয়-পাওয়া বিজেপি আসানসোলে দলের মাটি আরও শক্ত করে নেয়। ব্যবধান বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার জয় পান বাবুল। এ বার সেই আসানসোলই তৃণমূলের।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

একটা সময় আসানসোল দীর্ঘ সময় সিপিএমকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। যদিও স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসেরই ছিল আসনটি। কংগ্রেস নেতা অতুল্য ঘোষও ওই আসনে জিতেছিলেন দু’বার। তবে সত্তরের দশকের গোড়া থেকেই সিপিএমের দখলে চলে গিয়েছিল ওই আসন। মাঝে দু’বার ১৯৮০ এবং ১৯৮৪ সালে ফের কংগ্রেসের দখলে যায়। দু’বারই জেতেন কংগ্রেসের আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ১৯৮৯ থেকে ২০১৪— টানা ২৫ বছর বামেদের দখলে ছিল আসানসোল। তিনবার হারাধন রায়, তিনবার বিকাশ চৌধুরী এবং দু’বার বংশগোপাল চৌধুরী আসানসোলের সাংসদ হয়েছেন সিপিএমের টিকিটে।

তার পরে বাবুলের হাত ধরে পদ্মের হয়েছিল আসানসোল। এ বার শত্রুঘ্নর হাত ধরে তৃণমূলের হল আসানসোল। অর্থাৎ, রাজ্যে তৃণমূলের লোকসভা আসন আরও একটি বাড়ল। বিজেপি-র কমল একটি। বাবুল বিজেপি তথা আসানসোল না-ছাড়লে যা হত না। ফলে বালিগঞ্জের পাশাপাশি বাবুল তাঁর নতুন দলকে ‘দিলেন’ আসানসোলও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE