মাঝের ভাঙা অংশটি ঘিরে রাখা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
উদ্বোধনের পর ছ’মাস কাটতে না কাটতেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের মেঝেতে পাতা টালি উঠে বিপত্তি। একটি অংশে প্রায় ২০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ফুলে উঠেছে স্কাইওয়াকের মেঝে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কাইওয়াকের স্টলমালিকদের মধ্যে।
গত বছর নভেম্বর মাসে কালী পুজোর আগেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে দশ মিটার চওড়া ওই স্কাইওয়াক তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা ভক্তদের যাতায়াতের সুবিধা করতেই ওই স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে মন্দিরের প্রধান দরজা পর্যন্ত বিস্তৃত ওই স্কাইওয়াক।
বুধবার সকালে স্কাইওয়াকের স্টলমালিকরা হঠাৎই একটা জোরাল শব্দ শুনতে পান। মনোজ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ জোর আওয়াজ হল একটা। তারপরই দেখলাম মেঝে ফুলে উঠেছে। মেঝেতে পাতা টালিগুলো উঠে গিয়েছে।” এরপরই যাঁরা স্কাইওয়াকের রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তাঁদের খবর দেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জায়গাটি লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
এ ভাবেই ফুলে উঠেছে মেঝে। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত মন্তব্যের জের, রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করকে শোকজ কমিশনের
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এর আগেও একটি অংশে মেঝে ধসে গিয়েছিল। জল জমতে শুরু করেছিল ওই অংশে। তবে এ দিনের ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করেছে ব্যবসায়ীদের মনে। তাঁরা বলেন, বিকেল পর্যন্ত কেএমডিএ বা পূর্ত দফতরের কোনও ইঞ্জিনিয়র ঘটনাস্থলে যাননি। ৪০ নম্বর স্টলের সামনের ঘেরা অংশের পাশ দিয়েই লোক চলাচল হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিবার থেকে কেন বিচ্ছিন্ন, এই প্রথম কি মুখ খুললেন মোদী? অক্ষয়কে বললেন...
ইস্পাত এবং কাচ দিয়ে তৈরি ওই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। স্কাইওয়াকের নীচের অংশে সাবেক রাস্তায় থাকা হকারদের পুনর্বাসন দিতে স্কাইওয়াকেই ১৩৭টি স্টলের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। ওই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা মূল ইস্পাতের কাঠামোতেই কোনও সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই মাঝে মাঝেই এ ভাবে ফুলে উঠছে বা বসে যাচ্ছে রাস্তা। তাঁদের দাবি, ফুলে ওঠা মেঝের আশপাশ দিয়ে হাঁটলেও আওয়াজ হচ্ছে। যদিও কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত সরকারি ভাবে জানানো হয়নি ঠিক কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy