প্রতীকী চিত্র
লক্ষ্য ভিড়, হুড়োহুড়ি ঠেকানো। সে জন্যই চালু হয়েছে অতিরিক্ত শিবির। সেখানে বিলি হচ্ছে শুধু ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ ফর্ম। কিন্তু তাতেও ভিড় বাধ মানছে কই! পরিস্থিতি দেখে তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘গৃহলক্ষ্মীদের’ এই প্রকল্পের ফর্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।
স্থির হয়েছে, যে দিন যে এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হবে, তার আগের দিন এলাকায় গিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ফর্ম বিলি করবেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ফর্ম পূরণের খুঁটিনাটিও বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা। পরদিন শিবিরে গিয়ে শুধু ফর্ম জমা দিলেই হবে। ভিড় এড়াতে এক-একটি সংসদ এলাকার মহিলাদের আলাদা সময়ে ফর্ম জমার জন্য ডাকা হচ্ছে। বাড়িতে ফর্ম দেওয়ার সময়ই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কখন শিবিরে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শিবিরের বাইরে থেকে ফর্ম বিলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এখন অবশ্য প্রশাসনই বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলির ব্যবস্থা করল। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথীর তথ্য থেকে আমরা আগেই জানতে পেরে যাচ্ছি যে কোন এলাকায় কারা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ভিড় কমানোর জন্য সেই তথ্য ধরে শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ফর্ম বিলি শুরু করেছি।’’ কিন্তু পর্যাপ্ত কর্মী কি মিলবে? জেলাশাসকের জবাব, ‘‘ফর্ম জমা নিতে ‘কন্যাশ্রী’র মেয়েদের পাশাপাশি আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও থাকবেন শিবিরে। ফলে দ্রুত ফর্ম জমা নেওয়া যাবে। আর আগে থেকে ফর্ম বিলি হলে শিবিরগুলিতে ভিড় কমে যাবে।’’ পাশাপাশি, জেলায় শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮০০ করা হয়েছে। প্রথমে শিবির ছিল ৬০০, পরে বাড়িয়ে ১৩৪৮ করা হয়েছিল।
১৬ অগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে দ্বিতীয় পর্বের ‘দুয়ারে সরকার’। শিবিরে একাধিক সরকারি প্রকল্পে আবেদন করা গেলেও এ বার উৎসাহের কেন্দ্রে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। এই প্রকল্পে কিছু শর্ত সাপেক্ষে মহিলারা মাসে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে মোট আবেদন জমা পড়েছে ১০ লক্ষ ৭৩টি। এর মধ্যে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র আবেদনই ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy