সোমবার গভীর রাতে তখন ঘুমোচ্ছিলেন সকলে। রাত ২টো নাগাদ পাশের একটি কারখানার পাঁচিল দু’টি বাড়ির উপরে ভেঙে পড়ায় আহত হলেন চার জন।
যদিও তাঁদের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, টালা থানা এলাকার শিরীষ চৌধুরী লেনে টিনের ও অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোট ছোট কয়েকটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে জনা পাঁচেক পরিবার। একটি বাড়ির বাসিন্দা সমর জ্যোতি বলেন, ‘‘গভীর রাতে তখন আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল। তার পরেই দেখি, ছাদ থেকে অনেক কিছু ভেঙে পড়ছে। আমার স্ত্রীর দু’টি পায়ে ইট পড়ায় তিনি আহত হয়েছেন। আমার মাসি ও কিশোরী কন্যাও আহত। মেয়ের মাথাতেও কিছু একটা ভেঙে পড়েছিল। ভাগ্যিস, সিলিং থেকে বড় কোনও চাঙড় খসে পড়েনি। তা হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’
পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা এক মহিলা বললেন, ‘‘মাঝরাতে ফ্যান-সহ সিলিং ভেঙে পড়েছিল। একটুর জন্য বেঁচে গেলাম।’’ এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়ির ছাদ ভাল রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাড়িটি প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন পুরসভার কর্মীরা। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে বাসিন্দাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা ফের কবে বাড়িতে ঢুকতে পারবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা জানালেন, ওই কারখানাটির পাঁচিল খুব পুরনো। সেটির মেরামতি করতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা আর করা হয়নি। তার পরেই ঘটল এই দুর্ঘটনা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)