আনিস মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতারের কথা বুধবার প্রথম জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশের ছদ্মবেশে নয় কোনও দুষ্কৃতী নয়, শুক্রবার রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশই। আনিস-কাণ্ডে যে দু’জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জেরায় তাঁদেরই একজন আনিসের বাড়িতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এমনকি সেই রাতে আমতার ছাত্র নেতা আনিসের বাড়িতে কী হয়েছিল তা-ও তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন বলে অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের রিপোর্টে জানা গিয়েছে বলে খবর।
আনিস মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতারের কথা বুধবার প্রথম জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৈঠক চলাকালীন মমতা বলেন, ‘‘দু’জন পুলিশকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। বাকি দু’জনকেও জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ তাদের কাজ ঠিক ভাবেই করছে।’’ মমতার বলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের ডিজিপি মনোজ মালবীয় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন গ্রেফতার হওয়া দুই পুলিশ কর্মীর নাম।
এঁদের মধ্যে একজন আমতা থানার হোমগার্ড, কাশীনাথ বেরা। অন্যজন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। মনোজ এঁদের গ্রেফতারির ঘোষণা করলেও এঁরাই সেই রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন কি না তা স্পষ্ট করে জানাননি মালবীয়। পরে পুলিশেরই একটি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া দুই পুলিশ কর্মী জেরার মুখে সেই রাতে আনিসের বাড়িতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি এ-ও জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তাঁরা দু’জন এবং একজন পুলিশ কনস্টেবল আনিসের বাড়ির দোতলায় উঠেছিলেন। এমনকি এ অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের রিপোর্টেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সূত্রটি।
যদিও সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মী আনিসকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেননি। বরং তাঁর দাবি, আনিসকে হত্যা করা হয়নি, সে নিজেই পুলিশকে দেখে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিল বাড়ির তিন তলা থেকে। আর এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন আনিসের বাড়ির নীচেই পুলিশের এক এএসআই অপেক্ষা করছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ডিজিপি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন সিট নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে। তবে তাদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মনোজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy