মাসকয়েক আগে হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকায় ঘটা ধসের ঘটনা ভাবাচ্ছে কলকাতা পুরসভাকে। গোটা কলকাতার আবর্জনা ফেলা হয় বাইপাস সংলগ্ন ধাপায়। কিন্তু সেখানেও জঞ্জালের পাহাড় আর ভার নিতে পারছে না। দ্বিতীয় ধাপা গড়তে পাশেই ৭৩ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে অনেক আগে। ৮৮৩ জন চাষি ওই জমি বিক্রিতে সম্মতিও দিয়েছেন। সেই জমি কিনতে লাগবে ৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু বছর ঘুরলেও নবান্নের অর্থ দফতর সেই টাকা এখনও মঞ্জুর করেনি। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘দ্বিতীয় ধাপা অবিলম্বে তৈরি করা খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ৫৫ কোটি টাকার ছাড়পত্র পেতে নবান্নের শীর্ষ মহলে আমরা একাধিক বারবলেছি।’’
শুধু শহর কলকাতাই নয়, পার্শ্ববর্তী বিধাননগর পুরসভা, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি ও পানিহাটি পুরসভা এলাকার আবর্জনাও জড়ো হচ্ছে ধাপায়। সেখানে আবর্জনা ফেলার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জাতীয় পরিবেশ আদালত আগেই জানিয়েছিল, ধাপায় আর নতুন করে জঞ্জাল ফেলা যাবে না। আগে ধাপায় মোট ৬০ একর জায়গায় আবর্জনা ফেলা হত। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরে তার মধ্যে প্রায় ২৫ একর জায়গায় জঞ্জালের পাহাড় ও দূষণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। বাকি ৩৫ একর জায়গা জুড়ে কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকার ময়লা ফেলা হচ্ছে।
ধাপায় প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার টন আবর্জনা জমা হয়। এর মধ্যে পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয় সার। পুরসভা সূত্রের খবর, ধাপার পাশের বিশাল জমিতে দ্বিতীয় ধাপা গড়ার প্রাথমিক ধাপ হিসাবে পুরসভার তরফে দরপত্র ডাকা হয়েছিল। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘৭৩ হেক্টর জমির চার দিকে পাঁচিল তুলতে দরপত্র মঞ্জুর হয়েছিল। মাস তিনেক কাজও চলেছিল সেখানে। কিন্তু নবান্ন থেকে ৫৫ কোটি টাকা এখনও মঞ্জুর না হওয়ায় ওই কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)