Advertisement
E-Paper

ঘুরতে এসে মৃত্যু, পাশে পর্যটনমন্ত্রী

ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার পরে তাঁকে উদ্ধার করে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনার পথে শিপাইখোলার কাছে তাঁর মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:০৭
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন: ফুল দিচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন: ফুল দিচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

ভরা পর্যটন মরসুমে নিজস্বী তুলতে গিয়ে টয় ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল রাজ্যের এক পর্যটকের। রেল সূত্রে জানান হয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টায় ঘুম ও সোনাদা স্টেশনের মাঝে জোরখোলার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত প্রদীপ সাক্সেনা হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা।

ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার পরে তাঁকে উদ্ধার করে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনার পথে শিপাইখোলার কাছে তাঁর মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। পরে তাঁকে কার্শিয়াং হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য দেহ ফের নিয়ে যাওয়া হয় দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে। মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর প্রদীপের একটি মোবাইল হারিয়ে গিয়েছে। যে মোবাইলে তিনি নিজস্বী তুলছিলেন সেটিই ছিটকে পড়ে হারিয়ে গিয়েছে বলে তাঁর পরিবারের দাবি। ৫ অক্টোবর স্ত্রী নম্রতা ও মেয়ে অনুশ্রীকে নিয়ে দার্জিলিং এসেছিলেন প্রদীপ। বুধবারই তাঁদের দার্জিলিং মেলে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘টয় ট্রেনের দরজা থেকে ঝুঁকে নিজস্বী তোলার প্রবণতা নতুন নয়। বারবার বলেও সাবধান করা যাচ্ছে না যাত্রীদের।’’ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই ছিলেন। সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন ধরিয়ে দেন। প্রদীপের দেহ সুষ্ঠু ভাবে বাড়িতে আনা এবং সৎকারের ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রী দু’জনকেই নির্দেশ দেন।

ঘটনার পরে দার্জিলিং পুলিশ এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফে হুগলিতে যোগাযোগ করা হয়। দার্জিলিং পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহের দ্রুত ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন মন্ত্রী গৌতম। পর্যটন দফতরের তরফে দু’টি গাড়ি এবং পুলিশ এসকর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রদীপের দেহ নিয়ে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে শিলিগুড়ি মৈনাক লজে এসে পৌঁছন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এ দিনই বিমানে শিলিগুড়ি পৌঁছন মৃতের দাদা সঞ্জীব। প্রদীপের স্ত্রী ও মেয়ে শোকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। সঞ্জীব বলেন, ‘‘ভাইয়ের পাহাড়ে ট্রেকিং করার খুব শখ ছিল। সামান্য ছবি তুলতে গিয়ে এমন হবে ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। রেল এবং রাজ্য সরকারের খুবই সাহায্য পেলাম।’’ এ দিনই রাতে সড়কপথে দেহ নিয়ে হুগলির দিকে রওনা হয়েছে পরিবার।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওই পরিবারকে রিষড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পর্যটন দফতর সব সাহায্য করছে।’’

Death Accident Gautam Deb Tourist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy