ইদানিং শহরটার কথা ভেবে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। চোখের সামনে একটা শহরের গতি কেমন রুদ্ধ হয়ে আসছে। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অটো, টোটো, বাস, গাড়ি। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, চাকা গড়ায় না। ফুটপাথ দখল হয়ে রয়েছে। যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে পরিকল্পনাহীন পার্কিং। ভাবা যায়, দার্জিলিং মোড় থেকে শহরে ঢুকতে কখনও ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় লাগে। কখনও মনে হয় আদৌ আমাদের শহরে কোনও পুরসভার অস্তিত্ব রয়েছে। পুরভবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘরগুলিতে কী সারাদিন রাজনীতির আলোচনাই হয় নাকি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথাও ভাবা হয় এই প্রশ্ন শুধু আমার নয় শহরের অনেকেরই।
বিরোধীরা অকারণ সমালোচনা করেন। মন্ত্রিসভা যৌথ দায়িত্বের। এখানে কোনও লড়াইয়ের প্রশ্ন নেই। এই সব কথায় সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চান বিরোধীরা।
যাই হোক নতুন বছরে আমার লক্ষ্য বলতে গিয়ে এমন আলোচনার একটাই কারণ শহরের জন্য কী প্রয়োজন তা জানতে হলে সমস্যাও বুঝতে হয়। বর্ধমান রোডে ৪০ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের সরকার উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু করেছে। নতুন বছরে তার অনেকটাই গতি পাবে আশা করি। আমি নিজে তদারকি করব। চম্পাসারি থেকে শালুগাড়া এবং মাটিগাড়া থেকে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত চার লেনের রাস্তার কাজ এ বছরেই শুরু করা যাবে বলে বিশ্বাস করি। সর্বোপরি বাগডোগরা বিমানবন্দর নিয়েও আমি খুব আশাবাদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাগডোগড়ায় বিমানে জ্বালানি ভরতে কোনও সারচার্জ নেওয়া হচ্ছে না। তার জেরে প্রতিদিনই বিমানবন্দর আরও গমগমে হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে ১২৬ একর জমি কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে, আধুনিকীকরণের জন্য আরও ১১৬ একর জমি প্রয়োজন। আগামী দিনগুলিতে সেটিও সেরে ফেলার চেষ্টা করব। গজলডোবা, রাঙাপানি এবং ইএম বাইপাসে উড়ালপুলের প্রস্তাব রয়েছে। সেটিতেও মন দেব। যানজট থেকে শহর মুক্ত হবে আশা করি। একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রয়োজন। চাই একটি ইংরেজি মাধ্যমের বাংলা বোর্ডের ভাল স্কুল। দু’টোর জন্যই নতুন বছরের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy