Advertisement
০৪ মে ২০২৪
West Bengal Chief Information Officer

মমতার পছন্দ বীরেন্দ্র, আনন্দ মেনে নেবেন কি! তথ্য কমিশনার পদে চাই রাজভবনের ছাড়পত্র

ধনখড়ের আমলে এই পদে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দে ছাড়পত্র দেয়নি রাজভবন। এখন আনন্দের সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক যেখানে গিয়েছে তাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। শুভেন্দুর ইঙ্গিতও তাই।

Governor CV Anand Bose may defer with West Bengal government to appoint Virendra as chief information officer of state

মমতার পছন্দ কি মানবেন আনন্দ? ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪০
Share: Save:

রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্রর নামে মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে সিলমোহর দেওয়া হয় বুধবার। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই নাম ঠিক হয়। কিন্তু এর পরেও ওই পদে দায়িত্ব নিতে পারবেন না বীরেন্দ্র। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন রাজ্যপাল। তবে গত কয়েক দিন রাজভবন ও নবান্নের সম্পর্ক যে ভাবে অন্য দিকে মোড় নিয়েছে তাতে প্রশাসনিক মহলের সংশয়, সিভি আনন্দ বোস সহজে বীরেন্দ্রর নাম মেনে না-ও নিতে পারেন। যদি তাই হয়, তা হলে নতুন করে নবান্ন বনাম রাজভবনের সংঘাতের আবহ তৈরি হবে।

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে মুখ্য তথ্য কমিশনারের নাম ঠিক করার বৈঠকে নিয়ম অনুযায়ী থাকার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রেও নিয়ম তথ্য কমিশনার বাছতে বিরোধী দলনেতাকে রাখতে হয়। কিন্তু ওই পদ কাকে দেওয়া হবে তা তৃণমূল আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে অভিযোগ তুলে বৈঠকে যোগ দেননি শুভেন্দু। পরে বীরেন্দ্রর নাম চূড়ান্ত হলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার কে হবেন তা এ ভাবে ঠিক করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও কমিটি। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন জরুরি। তিনি অনুমোদন দিলে তবেই ওই পদে কে বসবেন তা চূড়ান্ত হবে।’’

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ব শেষ ওই পদে ছিলেন। এর পরে রাজ্যের প্রাক্তন আমলা নবীন প্রকাশকে মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে বাছা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি রাজভবন থেকে। আটকে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সেই থেকেই ওই পদ খালি রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আগেও এমন ভাবে ঘনিষ্ঠদের বসানোর চেষ্টা হয়েছে। সেই চেষ্টাও সফল আগেও সফল হয়নি, এ বারেও হবে না।’’

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের দায়িত্বে যে রাজ্যপাল, সে কথার উল্লেখ রয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটেও। নিয়ম বলছে, কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্বও রাজ্যপালের। তবে বীরেন্দ্রকে নিয়ে রাজ্যপালের অবস্থান কী হতে পারে, তা নিয়ে শুভেন্দু কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু তথা বিজেপির আপত্তিকে গুরুত্ব দিতে পারেন আনন্দ। কারণ, রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদে নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রথম আপত্তি তোলেন শুভেন্দুই। পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যকে জানান আনন্দ। বুধবারই নবান্নের তরফে নন্দিনীর বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE