প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি-তথ্য কেন দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন। আয়ুষের ক্ষেত্রে যেন উলটপুরাণ! রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দিল্লির চাহিদা মেনে আয়ুষের জন্য বরাদ্দ অর্থের জেলা-ভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসেব কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে চলেছে স্বাস্থ্য ভবন।
যে-ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতে রাজ্যে আয়ুষের কার্যকলাপ দিল্লির নজরে চলে আসবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনেরও সুযোগ রয়েছে। দিল্লির এমন চাহিদা মেটাতে রাজ্য কী ভাবে রাজি হল, সেটাই এখন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের কাছে রহস্য।
‘আয়ুষ ইন ইন্ডিয়া-২০১৯’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। ওই রিপোর্টের জন্য অগস্টে তথ্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু সে-যাত্রায় বরফ গলেনি। সেপ্টেম্বরে তথ্য পাঠানোর আর্জি জানিয়ে ফের চিঠি দেয় কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, দু’মাস সেই চিঠি ফাইলবন্দি থাকার পরে এখন কেন্দ্রের দাবি মেনে তথ্য পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই কাজে জলপাইগুড়ি থেকে এক জন অফিসারকে উড়িয়ে আনা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। আর তাতেই দানা বেঁধেছে রহস্য।
আরও পড়ুন: টানা বন্ধ ইন্টারনেট, ভোগান্তি জেলায় জেলায়
আয়ুষের তথ্য আগেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কেন্দ্রের সরাসরি নজরদারি বা রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ ছিল না। রাজ্যের তরফে মোট বরাদ্দ টাকার অঙ্ক, কত জন উপকৃত হয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে ক’জনের মোবাইল রয়েছে, সে টুকু জানাতে হত। কিন্তু এখন প্রতিটি জেলায় আয়ুষ ডিসেপেন্সারি, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, আয়ুষ গ্রাম, ‘পাবলিক হেল্থ আউটরিচ প্রোগ্রাম’-এর জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, সেই তথ্য দিতে হবে। বরাদ্দ অর্থের মধ্যে খরচের পরিমাণের পাশাপাশি তহবিলে কত টাকা আছে, জানাতে হবে তা-ও। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মেডিক্যাল অফিসারদের মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি দিতে বলেছে কেন্দ্র। কিছু ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ‘এমপ্লয়ি কোড’-ও।
স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিটি জেলা-ভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসেব, এমপ্লয়ি কোডের মতো তথ্য চাওয়া হচ্ছে কেন? স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পাঠানো হলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আয়ুষ আধিকারিকদের মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি কেন্দ্র পেয়ে যাবে। ফলে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দিল্লির পক্ষে স্বাস্থ্য ভবনের দাবি যাচাইয়ের সুযোগও তৈরি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy