বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
খুব শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। শনিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার পর এমনটাই জানালেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তবে বুদ্ধদেবকে কবে ছাড়া হবে, সেই নিয়ে এখনও হাসপাতালের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গত শনিবার থেকে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুদ্ধদেব। এখন অনেকটাই ভাল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংক্রমণমুক্ত। বন্ধ করা হবে তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক।
শনিবার সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘বুদ্ধদা আগের থেকে অনেকটা ভাল রয়েছেন। চিকিৎসায় ভাল ভাবে সাড়া দিচ্ছেন। যা যা সমস্যা ছিল, অনেকটাই কমে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, তাড়াতাড়ি ছাড়া হবে। ওঁর সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘অনেকটা ভাল আছেন। যে অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন উনি (বুদ্ধদেব), তার থেকে ভাল। আরও দু’দিন দেখবেন চিকিৎসকেরা। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া কেমন থাকেন, সেটা দেখবেন তাঁরা। চিকিৎসকেরা আশান্বিত।’’ একটু সুস্থ বোধ করতেই বাড়ি যাবেন বলে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলেন বুদ্ধদেব। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদনে তখন সাড়া দেননি চিকিৎসকেরা। গত দু’দিনে বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার নতুন করে কোনও অবনতি হয়নি। বরং চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা সামান্য উন্নতির দিকেই। চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছুটির ব্যাপারে এখনই কিছু বলছি না। আজ ওঁর অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করা হবে। উনি সেরে ওঠায় আমরা খুশি।’’
শনিবার সকালে হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে বুদ্ধদেবকে। শুক্রবার তাঁর ইউরিনারি ক্যাথেটার খোলা হয়েছে। একটু সুস্থ বোধ করতেই বাড়ি যাবেন বলে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলেন বুদ্ধদেব। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদনে তখন সাড়া দেননি চিকিৎসকেরা।
গত শনিবার সকাল থেকেই ক্রমশ আচ্ছন্ন হয়ে যেতে থাকেন বুদ্ধদেব। শরীরে কমতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। তার পরই সে দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বুদ্ধদেবকে। হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, বুদ্ধদেবের শ্বাসনালিতে (লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট) সংক্রমণ রয়েছে এবং ‘টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেলিওর’ হয়েছে। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আগের থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বুধবারই চিকিৎসকদের কাছে আম খেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, তাঁর জিভে আমের স্বাদও দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy