পঞ্চমী থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়। শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাকুর দেখার ধুম। তেমনই ভিড় ট্রেনে-বাসেও। সেই আবহেই আবহাওয়া দফতর জানাল, নিম্নচাপের প্রভাবে পুজোয় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতায়। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরোলে সঙ্গে ছাতা কিংবা রেনকোট না থাকলে পড়তে হতে পারে বিপাকে!
শনিবার সকালে ওড়িশার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল নিম্নচাপ। ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে তা আরও পশ্চিমে সরবে। তাছাড়া, মঙ্গলবার, অর্থাৎ অষ্টমীর দিন উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর আগেই তা পরিণত হবে নিম্নচাপ অঞ্চলে। এর জেরে দুর্গাপুজোয় অন্তত দু’দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে শহরে। তেমনটাই বলছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
পঞ্চমীতে পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ষষ্ঠীর দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। সপ্তমী থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। ওই দিন দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অষ্টমীতে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমেও। নবমী থেকে ফের দুর্যোগ বাড়বে। দশমী এবং একাদশীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দশমীর দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। একাদশীতে এই জেলাগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পুজোয় ঝড়বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। পঞ্চমীতে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। এ ছাড়া, দশমী পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি চলবে। দশমী এবং একাদশীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।