প্রতীকী ছবি।
গাছ কাটা, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রুখতে এ বার থেকে ১৮০৬ ডায়াল করে বন দফতরের হেল্পলাইনে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার রাজ্যব্যাপী বন মহোৎসব উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান থেকে নম্বরটি চালুর কথা ঘোষণা করেন বনমন্ত্রী।
এ দিন ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বালির সিসিআর ঝিল সংলগ্ন উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দফতরের কর্তারা ও অন্যান্যরা। রাজীব জানান, এ বার থেকে কেউ গাছ লাগালেই ‘সবুজ যোদ্ধা’ হওয়ার সুযোগ পাবেন। গাছ লাগানোর ছবি বন দফতরের ফেসবুক পেজে পোস্ট করলেই সেই ব্যক্তিকে অনলাইনে শংসাপত্র দেওয়া হবে।
আমপানের পরে পরিবেশের সবুজের ভারসাম্য বজায় রাখতে ‘পুনরায় সবুজ বাংলা’ (রি-গ্রিনিং বাংলা) প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ এবং গোটা রাজ্যে সাড়ে তিন কোটি গাছের চারা রোপণের কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এ দিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘গাছ মানেই শখ, আর বন মানেই বেড়ানোর জায়গা নয়। এ সব না থাকলে পৃথিবীই থাকত না। অনেকে সবুজের গুরুত্ব বুঝছেন না। ম্যানগ্রোভ কেটে বাড়ি তৈরি না হলে আমপানে হয়তো এত ক্ষতি হত না।’’ ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় স্থানীয় মানুষ বেশ কয়েকটি জঙ্গলকে পবিত্র মেনে পুজো করেন। ওই সমস্ত জঙ্গলকে নিয়ে ‘দ্য সেক্রেড গ্রোভস্’ (পবিত্র বন) নামের একটি বইও এ দিন প্রকাশ করে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy