Advertisement
E-Paper

‘পরীক্ষায় কিছু পারব না’! মাধ্যমিকের আগে ‘বেপাত্তা’ রিষড়ার দুই ছাত্রী, খোঁজ মিলল মরুরাজ্যে

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ছাত্রী রিষড়ার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মাধ্যমিকের আর তিন দিন বাকি ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি একেবারেই ঠিকঠাক ছিল না। পরীক্ষায় কিছু পারবে না, এই আশঙ্কা থেকে বাড়ি থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল দুই ছাত্রী। নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর তাদের রাজস্থান থেকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনল হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ছাত্রী রিষড়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারা। এর পর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই দুই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায়, তারা বিপদে পড়েছে। তাদের বাঁচানোর জন্য কিছু করুক বাড়ির লোক। এর পরেই তাদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে না পেরে বিষড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে দুই পরিবার। তদন্তে নেমে দুই পড়ুয়ার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। জানতে পারেন, ওই দিন তারা টিউশন পড়তেও যায়নি। তাদের শেষবার একটি খাবারের দোকানে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকে তাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি।

তদন্তকারীরা জানান, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। প্রথমে দুই ছাত্রীর ছবি হুগলি তো বটেই, অন্যান্য জেলার থানাগুলিতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জিআরপি (রেল পুলিশ)-কেও জানানো হয় বিষয়টি। ছাত্রীদের মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশন বর্ধমান দেখানোয় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলার পুলিশকে গোটা ঘটনা জানায় রিষড়া থানার পুলিশ। এর পরেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দুই ছাত্রী অজমের শরিফে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখার জন্য বলা হয় মরুরাজ্যের পুলিশকে। এর পর মঙ্গলবার রিষড়া থানা থেকে তদন্তকারীদের একটি দল সেখানে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে রাজ্যে ফেরে।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘দুই ছাত্রী কোথায় যেতে পারে, তার খোঁজ করতে গিয়ে তাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। পাশাপাশি দেখা যায় তাদের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও। সেগুলি মাঝেমধ্যে সক্রিয় হচ্ছিল। তার সূত্র ধরে অজমের শরিফে তাদের সন্ধান মেলে। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছে, মাধ্যমিকের প্রস্তুতি ভাল না হওয়ায় তারা চলে গিয়েছিল।’’

রিষড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান জাহিদ হাসান খান বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম, হয়তো অপহরণ করা হয়েছে। পরে জানা যায়, প্রস্তুতি না হওয়ায় তারা পালিয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ দেব চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে, রিষড়া থানার পুলিশকে। সিপি নিজে রিষড়া থানায় এসে তদারকি করেছেন। খুব দ্রুত ছাত্রীদের উদ্ধার করা গিয়েছে।’’

Madhyamik Exam 2024 Hooghly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy