বেপরোয়া গতিতে আসা মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা এলাকায়, কদমতলা সরকারি আবাসনের সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অর্চনা রায় (৫৫)। তিনি আগে ওই আবাসনেই থাকতেন। রবিবার সেখানে প্রাক্তন প্রতিবেশীর বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। ক্রিকেট খেলা দেখে কিছুটা রাত করেই সলপে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন অর্চনা। তখনই ওই মোটরবাইকটি তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। এর পরে বাইকটিও পিছনে বসা আরোহী-সহ রাস্তার পাশে নর্দমায় ঢুকে যায়। ধাক্কার জেরে অর্চনা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ মণ্ডলকে পিছনে বসিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটান অরুণাভ দত্ত নামে এক মোটরবাইক চালক। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ অরুণাভকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ নম্বর ধারায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও অভিজিতের দাবি, তিনি ওই বাইকে ছিলেন না।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী শতাব্দী ঘোষাল সোমবার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরে নর্দমা থেকে যখন দু’জনকে উদ্ধার করা হয়, তখনও ওঁরা ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছিলেন না, টলছিলেন। এই চালকের কঠোরতম শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ে প্রচার করি যে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালে বা দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে চালকের কঠিনতম সাজা হবে। তাই ১০৫ ধারায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)