E-Paper

পোলবায় মহিলা খুনে ধৃত যুবক, কারণ নিয়ে প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার কারখানায় ফিরতেই পুলিশ শঙ্করকে ধরে। তবে, পুলিশের দাবি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। নিহতের স্বামী পূর্ণচন্দ্র জানা বলেন, ‘‘গত তিন মাসে একটি ছাগলও মারা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পোলবার একটি পরিত্যক্ত কারখানা চত্বরে স্থানীয় ইটভাটা শ্রমিক জ্যোৎস্না জানার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল সোমবার রাতে। তাঁকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে পাশের সার ও পশুখাদ্য তৈরির একটি কারখানার শ্রমিক সরবরাহকারী শঙ্কর সাদাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের দাবি, দোষ কবুল করেছে ধৃত যুবক। শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ধৃতকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

শুক্রবার পোলবা থানায় এসে ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) প্রিয়ব্রত বক্সী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জেরায় শঙ্কর জানিয়েছে, মাসখানেক আগে পোষ্য ছাগলের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাকে দায়ী করে প্রায়ই গালিগালাজ করতেন জ্যোৎস্না। সোমবার বিকেলেও একই ঘটনা ঘটে। শঙ্কর তখন মদ্যপ ছিল। রাগে আনাজ কাটা ছুরি এনে সে জ্যোৎস্নার গলায় চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হলে দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় চৌবাচ্চায় ফেলে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়। সন্ধ্যায় ব্যান্ডেল থেকে ট্রেন ধরে নিজের বাড়ি বিহারের বেগুসরাইতে চলে যায়।

বৃহস্পতিবার কারখানায় ফিরতেই পুলিশ শঙ্করকে ধরে। তবে, পুলিশের দাবি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। নিহতের স্বামী পূর্ণচন্দ্র জানা বলেন, ‘‘গত তিন মাসে একটি ছাগলও মারা যায়নি। ছাগল নিয়ে কারও সঙ্গে অশান্তি হলে স্ত্রী আমাকে জানাতো। কিন্তু এমন কিছুই বলেনি। খুনের কারণ নিয়ে পুলিশ যা বলছে, তা ঠিক নয়।’’ জ্যোৎস্নার বড় ছেলে, বিজেপি কর্মী রাজকুমারেরও বক্তব্য, ‘‘পুলিশ যে কারণের কথা বলছে, তা সঠিক নয় বলেই মনে হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মা অত্যন্ত সবল ছিল। একা কারও পক্ষে মাকে বাগে আনা কঠিন ছিল। একজন মদ্যপ ব্যক্তির হাতে মা খুন হয়ে যাবে! নিশ্চয়ই একাধিক লোক জড়িত।’’ পূর্ণচন্দ্র জানান, সোমবার বিকেলে জ্যোৎস্না ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় সব ছাগল ফিরে এলেও জ্যোৎস্না না-ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাতে দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশের দাবি, জ্যোৎস্না খুন হন সার কারখানার রান্নাঘরের সামনে। সেখান থেকে পরিত্যক্ত কারখানার চৌবাচ্চা খানিকটা দূরে। প্রশ্ন উঠছে, মদ্যপ এক জনের পক্ষে একা দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলা কতটা সহজ? দেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হলে তার চিহ্ন থাকার কথা। এমন কোনও চিহ্ন আপাতদৃষ্টিতে মেলেনি।

পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, খুনের কারণ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে এবং ঘটনার পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Polba

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy