E-Paper

পাঁচতলা থেকে পড়ে আহত বালকের মৃত্যু

হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, ওই বালকের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। তার পরে বার বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যু হয় তার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৫
An image representing death

একটি আবাসনের পাঁচতলার ছাদে ‘কানামাছি’ খেলার সময়ে সেখান থেকে পড়ে যাওয়া বালকের মৃত্যু হল হাসপাতালে। প্রতীকী ছবি।

শেষরক্ষা হল না। হাওড়ার পিলখানার ফকিরবাগান লেনে একটি আবাসনের পাঁচতলার ছাদে ‘কানামাছি’ খেলার সময়ে সেখান থেকে পড়ে যাওয়া বালকের মৃত্যু হল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনীশ কুমার নামে ন’বছরের ওই বালকটি সোমবার রাতে মারা যায়। সে দিনই তার অবস্থা সঙ্কটজনক হয়েছিল। রাতে তাকে আইসিইউ-তে দেওয়া হয়। সেখানেই মারা যায় অনীশ।

হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, ওই বালকের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। তার পরে বার বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যু হয় তার। সোমবার রাতে অনীশের মৃত্যুর পরে মঙ্গলবার তার দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, উপর থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বালকের।

গত রবিবার রাতে আবাসনের বাসিন্দা অন্য ছেলেদের সঙ্গে পাঁচতলার ছাদে চোখে রুমাল বেঁধে ‘কানামাছি’ খেলার সময়ে অনীশ নীচে পড়ে যায়। বাড়িটিতে কার্নিস থাকায় সেই কার্নিসে ধাক্কা খেতে খেতে পড়ে সে। সেই সময়ে রাস্তার ধারে বসে থাকা স্থানীয় যুবকেরাই অনীশকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরে সোমবার বেশি রাতে তার মৃত্যুর খবর আসে। তবে মঙ্গলবার তার মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চাননি। মৃত বালকটির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ৪২ নম্বর ফকিরবাগান লেনের ওই বাড়িটির ছাদটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাদের পাঁচিলের উচ্চতা কম থাকলেও তা বাড়ানো হয়নি। অবিলম্বে পাঁচিলের উচ্চতা না বাড়ালে যে কোনও দিন ফের এমন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death child Howrah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy