হুগলির কোন্নগরে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের। বুধবার সন্ধ্যায় কোন্নগরের কানাইপুরে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মৃত পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতিরও সভাপতি। কী কারণে এই হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান আশপাশের মানুষেরাও। সেই সুযোগে এলাকা থেকে পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, ধারালো অস্ত্রের কোপে পিন্টুর হাত কব্জি থেকে কেটে পড়ে গিয়েছিল। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
হামলার খবর পেয়ে প্রথমে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে উত্তরপাড়া থানা থেকে পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাসও ঘটনাস্থলে যান। রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগিও। কী কারণে এই হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক কোনও কারণ না কি ব্যবসায়িক শত্রুতা, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডিসি (শ্রীরামপুর) জানান, সন্ধ্যায় এলাকার একটি গ্যাসের গোডাউন থেকে বাইকে চেপে বার হচ্ছিলেন পিন্টু। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, হামলাকারীরা দু’জন ছিলেন।
আরও পড়ুন:
এখনও পর্যন্ত হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ডিসিপি অর্ণব। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এবং অন্য তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। হামলার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিসিপি জানান, তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবচন্দ্র দে জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে এলাকার ব্যবসায়ীরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।