Advertisement
১১ মে ২০২৪
encroachment

encroachment: পূর্ত দফতরের রাস্তা জবরদখল করে ব্যবসা, উচ্ছেদের দাবি

জবরদখলকারীদের জন্য রাস্তা সরু হয়ে নিত্যদিন যানজট হচ্ছে বলে অভিযোগ।

রাস্তার পাশে এ ভাবেই পড়ে থাকে ব্যবসার দ্রব্য।

রাস্তার পাশে এ ভাবেই পড়ে থাকে ব্যবসার দ্রব্য। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ০৮:০৬
Share: Save:

গোঘাটের কামারপুকুর ডাকবাংলো থেকে রামকৃষ্ণ মিশন মোড় পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তার একাংশ দখল করে লোহার ব্যবসা চলছে বহু বছর ধরে। এমনকী পূর্ত দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয়ের সামনেই রাস্তার পিচের অংশ দখল করে জিনিস ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। পূর্ত দফতরের এই রাস্তায় জবরদখলের জন্য এলাকায় যানজট বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জবরদখল উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কামারপুকুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য তদবির করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর দলের একাংশই জবরদখলকারীদের মদত দিচ্ছেন।

জবরদখলের কথা স্বীকার করে পূর্ত দফতর (রাস্তা) সূ্ত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাধার আশঙ্কায় ওই রাস্তা জবরদখল উচ্ছেদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দফতরের মহকুমা সহকারী বাস্তুকার সুনীতি বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টা খোঁজ নিচ্ছি। রাস্তা জবরদখল মুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।”

পূর্ত দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দেশ-বিদেশের ভক্তদের সারা বছর ভিড় থাকে। আবার কাছেই মাত্র ৭ কিলোমিটারের মধ্যে জয়রামবাটীতে আছে সারদা মন্দির। ফলে ওই রাস্তায় বছরভর গাড়ির চাপ থাকে। এছাড়াও ওই রাস্তার গায়েই কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ওটা আবার ব্লক অফিসেরও পথ। ফলে ওই জবরদখলকারীদের জন্য রাস্তা সরু হয়ে নিত্যদিন যানজট হচ্ছে বলে অভিযোগ।

দখলকারী ব্যবসায়ীদের অন্যতম হরিসাধন মণ্ডল বলেন, “বহু বছর ধরে আমরা দেড়শো জনেরও বেশি এই রাস্তার পাশে ব্যবসা করছি। রাস্তার পিচের অংশ বা ফুটপাত দখল হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া আমরা উঠতে নারাজ।’’

শাসক দলের মদত এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ প্রসঙ্গে কামারপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা দলের গোঘাট-২ ব্লক সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, “দলের মদতের কোনও প্রশ্ন নেই। পঞ্চায়েতের তরফে আমরা জবরদখলকারীদের জানিয়ে দিয়েছি, এলাকায় যানজট বা দুর্ঘটনা এড়াতে অন্তত পুজোর দিনগুলোতে তাঁদের সরে যেতে হবে। স্থায়ী ভাবে রাস্তা জবরদখল মুক্ত করতে পূর্ত দফতরই ব্যবস্থা নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

encroachment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE